—ফাইল চিত্র।
বকেয়া সম্পত্তিকরের ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার কোষাগার আগেই শূন্য ছিল। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রচুর পরিমাণে লাইসেন্স ফি বকেয়া থাকায় সমস্যায় পড়েছে পুরসভা। লাইসেন্স ফি বকেয়া থাকার কারণ কী এবং কী ভাবে তা মেটানো সম্ভব, তা নিয়ে নতুন করে সমীক্ষা শুরু করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসেই তার প্রাথমিক রিপোর্ট লাইসেন্স দফতরের আধিকারিকের কাছে জমা পড়বে।
পুর কর্তৃপক্ষ জানান, লাইসেন্স বকেয়া পড়ে আছে কি না, তা জানতে পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে লাইসেন্স পরিদর্শকদের পাঠানো হবে। তাঁরা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে কী পরিমাণে ফি বাকি পড়ে রয়েছে এবং তার কারণ জেনে পুরসভার কাছে রিপোর্ট করবেন। পুরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
লাইসেন্স দফতর সূ্ত্রের খবর, প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ লাইসেন্স গ্রহীতার ফি জমা পড়েনি অথবা সেই লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণ হয়নি। ফলে, সেখান থেকেই বকেয়া রয়ে গিয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। বকেয়া জরিমানার পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এই পরিমাণ অর্থ পুরসভার কোষাগারে ঢুকলে আপাতত অনেকটাই সুবিধা হবে পুরসভার।
পুর আধিকারিকেরা জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে বিভিন্ন কারণেই লাইসেন্স ফি জমা পড়েনি। কিছু ক্ষেত্রে যাঁর নামে ব্যবসা রয়েছে, তিনি মারা যাওয়ার পরে সেই লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। এমনকি, অনেকেই এই লাইসেন্স ফি দেওয়ার রীতি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নন। তা ছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে লাইসেন্স পাওয়ার পদ্ধতিগত জটিলতা রয়েছে। ফলে, সময় মতো লাইসেন্স ফি দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হওয়ায় বকেয়া বেড়েছে।
ব্যবসা সংক্রান্ত লাইসেন্সের জন্য কলকাতা পুরসভার কাছে আবেদন করলে দ্রুত অনুমতি মিলবে। তবে সে ক্ষেত্রে লাইসেন্স সংক্রান্ত সমস্ত ধরনের নথি ঠিক থাকলে লাইসেন্সের অনুমতি মিলতে পারে। সেই কারণেই কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে গত মাসে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমই সে কথা জানিয়েছিলেন।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, অনলাইনে কোনও ব্যক্তি আবেদন জানালে তাঁকে অনলাইনেই অনুমতি দেওয়া হবে। তবে কোন লাইসেন্স ‘বৈধ’ আর কোনটি ‘অবৈধ’, সেই ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হবে। আগে অনলাইনে আবেদনকারীর কাগজপত্র দেখে খোঁজখবর নিয়ে তাঁরা লাইসেন্স দিতেন। বর্তমানে লাইসেন্সের বৈধ কাগজপত্র দেখা ছাড়াও তাঁরা লক্ষ রাখবেন লাইসেন্স বাবদ ওই ব্যক্তির কাছে পুরসভার কত টাকা বাকি রয়েছে। ফি বাবদ সেই টাকার পরিমাণ পুরসভাকে জানালে পুর কর্তৃপক্ষ তা নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy