ফাইল চিত্র।
আদালতের নির্দেশ সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। মাস কয়েক আগেও এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল কলকাতা পুরসভার অন্দরে। পুর কর্তৃপক্ষ সে সময়ে সমস্ত দফতরকে নির্দেশও দিয়েছিলেন, আদালতে কোনও মামলা থাকলে তার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে। তা সত্ত্বেও বিশেষ কাজ না হওয়ায় ফের নির্দেশ জারি করলেন কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ।
পুর কমিশনারের অফিস থেকে সমস্ত দফতরকে এ বার ‘কড়া’ ভাষায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুর আধিকারিকেরা। তাঁদের মতে, পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাবে আদালতে যাতে পুর কর্তৃপক্ষকে ‘অপ্রস্তুত’ হতে না হয়, সে কারণে আগে থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি, এমন পরিস্থিতি যাতে না হয়, সে কারণেই এই নির্দেশ গিয়েছে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্ট, কলকাতা হাইকোর্ট এবং জাতীয় পরিবেশ আদালত কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষকে কোনও বিষয়ে নির্দেশ দেওয়ার পরে তার প্রেক্ষিতে কী করণীয়, তা দু’দিনের মধ্যে পুর কমিশনারকে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের বলা হয়েছে। ইমেলের মাধ্যমে বা পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সরাসরি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে হবে। পুর আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, দু’টি ক্ষেত্রেই (ইমেল করলে ‘সাবজেক্ট’-এর জায়গায় এবং কাগজের ফাইলের উপরে) যেন ‘জরুরি’ (আর্জেন্ট) শব্দটি উল্লেখ করা থাকে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুধু সাম্প্রতিক মামলার ক্ষেত্রেই নয়, পুরনো মামলা, যার সঙ্গে আইনি জটিলতা জড়িয়ে রয়েছে, সে বিষয়েও ওই দু’দিন সময়সীমার মধ্যেই কমিশনারকে জানাতে হবে। তাঁর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করার কথা বলা হয়েছে নির্দেশে।
আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আদালতে ‘রিট পিটিশন’ দাখিলের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অফিসারকে ওই ‘পিটিশন’ দাখিলের আগে রাজ্য নিযুক্ত আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে সে বিষয়ে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে। যাতে আদালতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পুরসভার কী অবস্থান, তা স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy