Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
environment

দেওয়ালিতে দূষণ-রাজধানী কলকাতা, বইছে বিষ বাতাস

নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমার বাইরে দেদার ফেটেছে শব্দবাজি। তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে পুড়েছে আতসবাজিও। তার ফলাফল জানেন?

দূষণের মাত্রা কলকাতা ছাপিয়ে গেল সব শহরকে। —নিজস্ব চিত্র।

দূষণের মাত্রা কলকাতা ছাপিয়ে গেল সব শহরকে। —নিজস্ব চিত্র।

সোমনাথ মণ্ডল
শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:৪৯
Share: Save:

দেওয়ালির রাতে দূষণের রাজধানীতে পরিণত হল কলকাতা। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমার বাইরে দেদার ফেটেছে শব্দবাজি। তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে পুড়েছে আতসবাজিও। এই দুয়ের দাপটে বুধবার রাতে কলকাতায় দূষণের সহনশীল মাত্রা ছাড়়িয়ে গিয়েছে।

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,দেওয়ালির দিন রাত ১টার সময় বাতাসে ধূলিকণার (পিএম ২.৫) পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৩৫৭। সেখানে মধ্য দিল্লিতে প্রতি ঘনমিটারে ৩২৩, মুম্বইয়ে ১৪০,চেন্নাইয়ে ১১২ এবং বেঙ্গালুরুতে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ১২০।

বাতাসে ধূলিকণা ৫০-এর উপরে থাকলেই শরীর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাত্রা ৩০০ ছাড়িয়ে গেলেই তা বিপজ্জনক তালিকায় পড়ে যায়। ৪০০ অতিক্রম করলে বলা হয় মারাত্মক বিপজ্জনক। কালীপুজো এবং দেওয়ালির রাতে কলকাতা, হাওড়া এবং শিলিগুড়িতে একটা সময়ে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে কোথাও কোথাও ৫০০-তেও পৌঁছে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: বাজির ধোঁয়া-মেঘের যুগলবন্দি, কালীপুজোর রাতে শ্বাসরুদ্ধ কলকাতা

এই দূষণের ফলে শিশু এবং বয়স্করা মারাত্মকভাবে শারীরিক সমস্যায় ভুগতে পারেন। হতে পারে শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি এবংত্বকের সমস্যা। এ দিন সকালেও বিষ বাতাস বয়ে চলেছে শহরের বুকে। বেলা ১২টার সময়েও বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ৩৩৫। সপ্তাহখানেক আগে অর্থাৎ পয়লা নভেম্বর এই সময়েই ধূলিকণার পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৩।

এই দূষণের প্রসঙ্গে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বলেন, “এটা মারাত্মক বিপজ্জনক বিষয়। সব তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হবে।” অন্য এক পরিবেশকর্মী নব দত্তের কথায়: “শব্দবাজির তাণ্ডব তো ছিলই, তার সঙ্গে আতসবাজিও ব্যপাকভাবে পুড়েছে। ফলে বিষ বাতাসে ভরে গিয়েছে শহরের আকাশ। আমরাও বায়ু দূষণ মাপার যন্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলাম। বেহালা থেকে কসবা, নারকেলডাঙা থেকে সল্টলেক— দূষণের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে ৪০০-র কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল।”

আরও পড়ুন: কোথায় থাকেন তার উপর নির্ভর করবে হার্টের রোগ হতে পারে কি না!

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদের তরফে জানানো হয়েছে, বাতাসে এই ধূলিকণা বেড়ে যাওয়ার আর একটি কারণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন। মেঘলা আকাশ থাকায় বাতাসের ধূলিকণা বেরিয়ে যেতে পারেনি।

(গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ)

(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)

অন্য বিষয়গুলি:

Diwali Pollution দূষণ
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy