Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

সাফ হল বিমানবন্দরের পণ্য বিভাগ

মাসের পর মাস পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। দু’টি শৌচাগারে সব সময় তালা লাগানো থাকত। এলাকা ছিল জঞ্জালে ভর্তি। এমনই হাল ছিল কলকাতা বিমানবন্দরের ৭ নম্বর গেটের কাছে আন্তর্দেশীয় পণ্য বিভাগের। এখান থেকেই রোজ প্রায় কয়েকশো টন পণ্য কলকাতা থেকে বাইরে পাঠানো বা সংগ্রহ করা হয়। যেখানে প্রতি দিন কয়েক হাজার মানুষ নানা কারণে আসা যাওয়া করেন। আনন্দবাজার পত্রিকায় ২১ মার্চ এই নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পরের দিনই কিন্তু চিত্রটা অনেক পাল্টে গেল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৫ ০০:৩৮
Share: Save:

মাসের পর মাস পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। দু’টি শৌচাগারে সব সময় তালা লাগানো থাকত। এলাকা ছিল জঞ্জালে ভর্তি।

এমনই হাল ছিল কলকাতা বিমানবন্দরের ৭ নম্বর গেটের কাছে আন্তর্দেশীয় পণ্য বিভাগের। এখান থেকেই রোজ প্রায় কয়েকশো টন পণ্য কলকাতা থেকে বাইরে পাঠানো বা সংগ্রহ করা হয়। যেখানে প্রতি দিন কয়েক হাজার মানুষ নানা কারণে আসা যাওয়া করেন। আনন্দবাজার পত্রিকায় ২১ মার্চ এই নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পরের দিনই কিন্তু চিত্রটা অনেক পাল্টে গেল। পণ্য বিভাগের কর্মীরা জানাচ্ছেন, সকালে অফিসে এসে তাঁরা দেখেন ঝাড়ুদারেরা দীর্ঘ দিনের ময়লা পরিষ্কার করছেন। এমনকী পানীয় জলের ভাঙা কলের জায়গায় একটি নতুন কলও বসানো হয়েছে।

পণ্য বিভাগের ওই কমপ্লেক্সে রয়েছে গো এয়ার, স্পাইসজেট, ইন্ডিগো, জেট এয়ার ও এয়ার ইন্ডিয়ার অফিস। রয়েছে একটি ক্যুরিয়ার সংস্থার নিজস্ব পণ্য অফিসও। অফিসগুলিতে কয়েকশো কর্মী বিভিন্ন শিফটে কাজ করেন। এক বিমান সংস্থার কর্মী বলেন “জঞ্জালের জন্য অফিসে এত মশা হতো যে সন্ধ্যায় কাজ করা যেত না। বর্ষায় কার্গোর অফিসের সামনে ড্রেনের জল জমে যেত।” কয়েক জন কর্মী জানালেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘স্বচ্ছ ভারত’ প্রকল্পে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে বলেছেন। সেই নিয়ম কলকাতার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব জায়গায় মানা হয়। শুধু কার্গো অফিসই ছিল ব্যতিক্রম। তবে কার্গোর বেহাল অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন বেরোনোর পরে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে পড়তে কর্মীরা সকলেই খুশি।

ওই কর্মীদের দাবি, এক দিন সাফ করলেই হবে না। রোজ সাফ করা চাই। পানীয় জলের জন্য শুধু একটা কল লাগিয়ে দিলেই হবে না, নিয়মিত জল পড়ছে কি না সে বিষয়েও নজর রাখতে হবে কর্তৃপক্ষকে। তাঁদের আরও দাবি, এ বার বন্ধ শৌচাগার দু’টিও দ্রুত খুলে দিতে হবে। বিমানবন্দরের কর্তাদের অবশ্য বক্তব্য, দ্রুতই সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে। শুধু শৌচাগার খুলে দেওয়াই নয় নতুন শৌচাগার এবং প্রতীক্ষালয়ও বানানো হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy