গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম।—ফাইল চিত্র।
রাজডাঙা গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামের নীচে আধুনিক দোকান তৈরির পরিকল্পনা করেছিল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। এ বার সেই প্রকল্প বাতিল করলেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। এলাকার প্রাতর্ভ্রমণকারীদের বড় অংশ ওই প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘পরিকল্পনা ছিল, ওই স্টেডিয়ামে যে ফাঁকা জায়গা আছে সেখানেই একটি শপিং সেন্টার তৈরি করা হবে। কিন্তু প্রাতর্ভ্রমণকারীদের অনেকেই কেএমডিএ-র এই প্রস্তাবে রাজি হতে চাননি। সেই জন্য ওই প্রকল্প নিয়ে আমরা আর এগোব না বলে স্থির করেছি।’’
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, বছর কয়েক আগে এলাকার একটি শপিং মলের সঙ্গে ওই স্টেডিয়ামটিও তৈরি করা হয়। সেই সময়ে দমকল দফতর থেকে স্টেডিয়াম তৈরির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। তার পর থেকে কেএমডিএ নির্মিত এই স্টেডিয়ামে ফুটবল প্রতিযোগিতা ছাড়াও ছোটখাটো বিভিন্ন খেলার আয়োজন হয়ে থাকে। কর্তৃপক্ষের দাবি, মাঠের চার দিকে রয়েছে গ্যালারি। সেই গ্যালিরির নীচে আধুনিক স্টেডিয়ামগুলির মতোই বিভিন্ন দোকান করার পরিকল্পনা হয়েছিল। এর ফলে সরকারের তহবিলে কিছু টাকাও আসত।
কেএমডিএ-র দাবি, ওই প্রস্তাবে এলাকার অনেকেই আপত্তি তুলেছিলেন। তাঁদের মতে, স্টেডিয়ামটি হল এলাকার ফুসফুস। বড় কোনও খেলা না হলে অনেকেই প্রাতর্ভ্রমণ করতে যান সেখানে। এমনকি স্থানীয় ছেলেমেয়েরা নিয়মিত খেলার অনুশীলনও করেন ওই স্টেডিয়ামের মাঠে। তাঁদের দাবি, ‘‘স্টেডিয়াম চত্বরে দোকানপাট তৈরি হলে খেলাধুলোর পরিবেশ নষ্ট হবে। এলাকাটি নোংরা হবে। অসুবিধায় পড়বেন প্রাতর্ভ্রমণকারী এবং স্থানীয় খেলোয়াড়েরা। বরং খেলাধুলোর উন্নতির জন্য স্টেডিয়াম এবং মাঠের প্রভূত উন্নতির দিকে নজর দিক প্রশাসন।’’
পুরমন্ত্রী জানান, আপাতত গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামের মাঠের উন্নতিতে মনোনিবেশ করা হবে। বর্তমান তাই ওই প্রকল্প বাতিল হওয়ার পরেও স্টেডিয়ামটির উন্নয়নে আর কী ধরনের প্রকল্প করা যায়, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy