ছটপুজোর সময়ে রবীন্দ্র সরোবর।
পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে এ বছরেও ছটপুজোর সময়ে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর বন্ধ রাখছে কেএমডিএ।
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ছটপুজোর জন্য ৩২টি অস্থায়ী এবং সাতটি স্থায়ী ঘাট প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সল্টলেকের উন্নয়ন ভবনে কেএমডিএ-র কর্তাদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশ, কলকাতা পুরসভা ও বিহারী সমাজের প্রতিনিধিদের দীর্ঘ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। ২০১৯ সালে পরিবেশ আদালতের রায়ে ওই দুই সরোবরে ছটপুজো নিষিদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু সে বছর লোকজনকে আটকানো যায়নি। ছটের দিন সকালেই পুণ্যার্থীরা গেট ভেঙে রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে পড়েন।
কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য এ দিন জানান, শহরের ১৬টি জায়গায় ওই ৩৯টি ঘাট প্রস্তুত করা হচ্ছে। কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়ারেরা তদারকির জন্য সেখানে থাকবেন। ঘাটগুলি প্রস্তুত করার পাশাপাশি সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণও করবে কেএমডিএ।
সুভাষ সরোবর-সহ কয়েকটি জায়গার পুণ্যার্থীদের জন্য ঘাটের ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকবে কলকাতা পুরসভা। প্রশাসন জানিয়েছে, রবীন্দ্র সরোবরের সামনে পুণ্যার্থীদের জন্য পরিবহণের বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। যাতে কোনও পুণ্যার্থী সেখানে পৌঁছে গেলে তাঁকে কেএমডিএ-র তৈরি ঘাটে নিয়ে যাওয়া যায়। প্রতিটি ঘাটে চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা রাখতে এ দিন সংশ্লিষ্ট দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন চন্দ্রিমা।
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো চলাকালীন পুরসভা বিভিন্ন পরিষেবা দেবে। মেডিক্যাল ক্যাম্প, জঞ্জাল সাফাই থেকে আলোর ব্যবস্থা, আমরাই দেব।’’ এ ছাড়া, কেএমডিএ-র তরফে আরও যা যা সাহায্য চাওয়া হবে, পুরসভা তা দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy