প্রতীকী ছবি
বিপজ্জনক হিসেবে ঘোষিত কোনও বাড়ির ক্ষেত্রে ব্যবসা করার ছাড়পত্র দেবে না কলকাতা পুরসভা। ব্যবসার ছাড়পত্র বা সার্টিফিকেট অব এনলিস্টমেন্ট নিয়ে নতুন রূপরেখায় এই বিষয়ের উপরেই জোর দিচ্ছে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।
‘কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (এনলিস্টমেন্ট অব প্রফেশন, ট্রেড অ্যান্ড কলিং) গাইডলাইন্স ২০২০’ নামে সেই রূপরেখা সম্প্রতি তৈরি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যেখানে ব্যবসা হচ্ছে, তা বিপজ্জনক কি না, বিল্ডিং দফতর যাচাই করে দেখবে। সেই অনুযায়ী তারা লাইসেন্স দফতরকে জানাবে। যদি দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যবসা কোনও বিপজ্জনক বাড়িতে করা হবে বলে আবেদন জমা
পড়েছে, তখন লাইসেন্স দফতর তার ছাড়পত্র দেবে না। সংশ্লিষ্ট বাড়ি বা ভবনের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক তকমা কখনও উঠলে বা সেটি পুনর্নির্মিত হলে বিল্ডিং দফতর তা ফের লাইসেন্স দফতরকে জানাবে। তখন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে লাইসেন্স দফতর তাদের ছাড়পত্র দেবে। তবে ওই রূপরেখায় আরও কিছু পরিবর্তন হতে পারে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট রূপরেখায় ছাড়পত্র পেতে কী কী নথি লাগবে, শংসাপত্রের মেয়াদ ও পুনর্নবীকরণ, পুর দলের ব্যবসার জায়গা সরেজমিন পরিদর্শন, আবেদনে কোনও পরিবর্তন বা ত্রুটি সংশোধন করতে গেলে কী করতে হবে-সহ মোট ১২টি পয়েন্ট রয়েছে।
পুরসভার এক কর্তার কথায়, ‘‘মূলত ইজ় ফর ডুয়িং বিজ়নেসের কথা মাথায় রেখেই ওই রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়ার আরও সরলীকরণ করাই এর মূল উদ্দেশ্য। তবে ওই রূপরেখায় আরও কিছু পরিবর্তন হতে পারে।’’
যদিও প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, নতুন ব্যবসা চালুর ক্ষেত্রে বিপজ্জনক বাড়িতে পুরসভা কোনও অনুমোদন দেবে না বলা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু শহরের যে অগুনতি বিপজ্জনক বাড়িতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চলছে, তার ক্ষেত্রে কী হবে, তা স্পষ্ট করে বলা নেই ওই রূপরেখায়। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘শহরে অনেক জায়গায় বিপজ্জনক বাড়ির নীচেই রমরমিয়ে ব্যবসা চলছে। কোনও কোনও বাড়ির অবস্থা এতটাই বিপজ্জনক, তা যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেগুলির ক্ষেত্রে কী নীতি গ্রহণ করা হবে, রূপরেখায় তার উল্লেখ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy