—প্রতীকী ছবি।
শহরের অকেজো মোবাইল টাওয়ার নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। শনিবার টক টু মেয়র কর্মসূচির শেষে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে এ বিষয়ে নিজের মতামত স্পষ্ট করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পরিত্যক্ত টাওয়ার নিয়ে কলকাতা পুরসভাতে নানা অভিযোগ জমা পড়ছিল। বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনাও চলছিল। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন তুলতেই মেয়র পুরসভার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘বহু টাওয়ার কোম্পানি বর্তমানে উঠে গিয়েছে, বিএসএনএল উঠে গিয়েছে। রিলায়েন্স ইনফোটেক বলে একটি কোম্পানি ছিল, তা-ও উঠে গিয়েছে। মাঝে দু’চারটি টেলিকম সংস্থা এসেছিল, তারাও উঠে গিয়েছে। কিছু টাওয়ার আছে, যেগুলির হাতবদল হয়েছে। কিন্তু এমন টাওয়ারও রয়েছে, যাদের কোম্পানি উঠে গিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণও হয় না। সেগুলিকে আমাদের খুঁজে বার করতে হবে।’’ ফিরহাদ আরও বলেন, ‘‘খুঁজে বার করে তা কোন কোম্পানির, তা জানতে হবে। তারা যদি দায়িত্ব নিতে না চায়, তা হলে আমরা বাড়ির মালিককে বলব তা খুলে ফেলার জন্য। বাড়ির মালিক যদি খুলতে না চান, তা হলে আমরা পুরসভার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে, তা খুলে নিয়ে স্ক্র্যাপ হিসাবে নিলাম করে দেব।’’
উল্লেখ্য, কলকাতায় মোবাইল টাওয়ারের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধির সময়ে নিয়ম করা হয়। তাতে টাওয়ারগুলি বসানোর ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার অনুমতি নিতে হত। মোবাইল ফোনের রমরমা হতেই বাড়ে টাওয়ারের সংখ্যা। সে ভাবেই অনেক মোবাইল টাওয়ার বসানো হয়েছে। সেই সময় কলকাতা পুরসভার তরফে একটি সার্কুলার প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছিল যে, সব টাওয়ার সংস্থাকে পুরসভাকে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে। সঙ্গে ‘প্রসেসিং ফি’ এবং ‘রেগুলারাইজেশন ফি’ জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে শর্ত ছিল, টাওয়ারের রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থাই করবে। কিন্তু, বর্তমানে কলকাতায় অকেজো টাওয়ারের সংখ্যা অনেক। তাই এ বার সেই অকেজো টাওয়ারগুলিকে পুরোপুরি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে সিধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy