Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

মেট্রোয় ভরসা নয়, বাড়ির হাল দেখবে পুরসভাও

বৌবাজার এলাকার দুর্গা পিতুরি লেন, সেকরাপাড়া লেন, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং গৌর দে লেনের ৭১টি বাড়ি এখনও পর্যন্ত ওই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।

 চলছে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ভাঙার কাজ। বৌবাজারে। নিজস্ব চিত্র

চলছে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ভাঙার কাজ। বৌবাজারে। নিজস্ব চিত্র

অনুপ চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:১২
Share: Save:

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কারণে বৌবাজারে ধসে পড়া এবং ফাটল ধরা বাড়িগুলির কাঠামো পরিদর্শন শুরু করেছে কেএমআরসিএল-এর বিশেষজ্ঞ দল। যদিও তাদের রিপোর্ট যে সব ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে, তেমনটা মানতে নারাজ পুরকর্তারা। কলকাতা পুরসভাও তাদের নিজস্ব উদ্যোগে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে কোন বাড়ির কী হাল সেই সমীক্ষা করাবে।

বৌবাজার এলাকার দুর্গা পিতুরি লেন, সেকরাপাড়া লেন, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং গৌর দে লেনের ৭১টি বাড়ি এখনও পর্যন্ত ওই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। কেএমআরসিএল সূত্রের খবর, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুর্গা পিতুরি লেনের ৩৬টি বাড়ি। সেকরাপাড়া লেনের ২০টি, গৌর দে লেনের ১০টি এবং বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের পাঁচটি বাড়িও রয়েছে বিপদগ্রস্তের তালিকায়। সময় যত এগোচ্ছে বাড়ছে ওই সংখ্যা। বিপজ্জনক বাড়িগুলি ফের তৈরি বা সংস্কার যা-ই করা হোক না কেন, তার খরচ দেবেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। স্বভাবতই, ওই বাড়িগুলির কোনটি সংস্কার করতে হবে আর কোনটি নতুন করে গড়তে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

পুর তথ্য অনুযায়ী, বাড়িগুলি বহু বছরের পুরনো। তাই মেট্রোর সুড়ঙ্গে জল ঢুকে বিপর্যয়ের পরে ওই সব বাড়ির হাল কেমন রয়েছে তা জানা জরুরি বলে‌ মানছেন পুরসভার একাধিক ইঞ্জিনিয়ার। তাঁদের মতে, ওই তল্লাটের যে বাড়িগুলিতে ফাটল ধরেনি, সেই বাড়িগুলিরও সমীক্ষা করা দরকার। ইতিমধ্যেই পুরসভাকে আলাদা সমীক্ষা করতে বলে নবান্ন থেকে কলকাতা পুর প্রশাসনকে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরেই পুর কমিশনার খলিল আহমেদ পুরসভার বিল্ডিং দফতরকে সেই সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, ওই এলাকার প্রতিটি বাড়ির কাঠামো পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সেই কাজ শেষে বিল্ডিংয়ের ঠিকানা, বাড়ির মালিকের নাম-সহ রিপোর্ট পাঠাতে হবে নবান্নকে। গত রবিবার থেকে সেই কাজই শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর। পাশাপাশি ওই এলাকার মাটিও পরীক্ষা করবেন তাঁরা। কারণ, ধস নামা মাটিতে পরবর্তীকালে বাড়ি করা যাবে কি না, তা-ও দেখা হবে।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম মঙ্গলবার বলেন, ‘‘মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ হয়তো কাজ করে দিয়ে চলে যাবেন। তার পরে বাড়িগুলিতে কোনও সমস্যা দেখা দিলে ভুগবেন বাড়ির মালিক এবং পুরসভা। তাই বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পুরসভা নিজস্ব উদ্যোগে ওই বাড়িগুলির কাঠামোর হাল দেখে নেবে। তাতে মেট্রো এবং সরকার দু’পক্ষেরই সুবিধা হবে। আশ্বস্ত হবেন বাড়ির মালিকেরাও।’’

যদি কোনও বাড়ি সম্পর্কে মেট্রো এবং পুরসভার সমীক্ষার ফল আলাদা হয়, সে ক্ষেত্রে কী হবে তার অবশ্য স্পষ্ট উত্তর মেলেনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy