প্রতীকী ছবি।
কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে আবাসন প্রকল্পের নির্মাণের কাজে ভাটা পড়ল। তার জেরে বিলম্বিত হতে পারে দরিদ্রদের আবাসন প্রকল্পের কাজ। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পুরো শেষ করতে প্রায় বছরখানেক লাগতে পারে বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানান।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মার্চ মাসের শেষে লকডাউন ঘোষণার পরেই আবাসন প্রকল্পের বেশ কিছু কাজ আটকে গিয়েছে। বর্তমানে লকডাউন শিথিল হলেও কাজ দ্রুত এগোতে সমস্যা হচ্ছে।’’
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দরিদ্র মানুষদের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় বহুতল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দ না-হওয়ায় পরবর্তী সময়ে আবাসনগুলি রাজ্য সরকারের “বাংলার বাড়ি” প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রাজ্য সরকার থেকে ওই প্রকল্পে প্রায় ২২ কোটি টাকা কলকাতা পুরসভাকে ধার্য করা হয়।
পুর কর্তৃপক্ষ জানান, বস্তি অঞ্চলে ছোট বাড়ির বদলে ২৭৪ বর্গফুটের একটি করে ছোট ফ্ল্যাট উপভোক্তাদের দেওয়া হবে। নির্মাণ ছাড়াও সামগ্রিক ভাবে ওই প্রকল্পের মধ্যে পুনর্বাসনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে উপভোক্তাদের সংখ্যা বিচার করে তবেই ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। বেশির ভাগ জায়গায় কাজ শেষের মুখে এসেও হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিক ছাড়াও নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ এবং অনেক জায়গায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়েছে।
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর এক সদস্য তথা বস্তি দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানান, গার্ডনরিচ, বেহালা, বাগবাজার-সহ মোট ছ’টি জায়গায় ওই প্রকল্পের কাজ চলছে। তাঁর কথায়, “এই ধরনের প্রকল্পের জন্য শহরের বিভিন্ন বস্তি অঞ্চলে সমীক্ষা করে, বাসিন্দাদের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই এই প্রকল্পের কাজে হাতে দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময়ে আবাসন নির্মাণের প্রকল্প চালু হলেও আগামী বছরের মাঝামাঝি প্রায় সব ক’টি প্রকল্পেরই কাজ শেষ হওয়ার কথা। তা আপাতত পিছিয়ে গেল।’’
পুর কর্তৃপক্ষ জানান, বামফ্রন্ট আমলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দে ওই প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দের ঘাটতি ছাড়াও পরিকাঠামোগত ত্রুটি থাকায় দু’-একটি ছাড়া কোনওটিই বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy