—ফাইল ছবি।
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ার কারণ খুঁজতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উপরে নির্ভর করছে কলকাতা পুরসভা। বন্দর এলাকার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে বেআইনি ওই বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩। সেই ঘটনায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গড়েছে কলকাতা পুরসভা। ঘটনাস্থলের মাটি পরীক্ষা-সহ ওই বহুতলে ব্যবহৃত সামগ্রীর গুণমান কেমন ছিল, তা পরীক্ষা করতে পুরসভার তরফে আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাহায্য নেওয়া হয়। পুরসভার এক আধিকারিক বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তদন্ত কমিটির মূল রিপোর্ট পুর কমিশনারের কাছে দেওয়া সম্ভব নয়।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, এই ঘটনার সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির শীর্ষে রয়েছেন পুরসভার যুগ্ম কমিশনার। এ ছাড়াও রয়েছেন ডিজি (সিভিল), ডিজি (বিল্ডিং), ডিজি (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) ও ডিজি (পরিবেশ এবং হেরিটেজ)। কমিটির সদস্যেরা একাধিক বার গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। যে জায়গায় বহুতলটি নির্মাণ করা হচ্ছিল, তার একটি অংশে পুকুরের অস্তিত্ব মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুরসভা জানাচ্ছে, গার্ডেনরিচের নির্মীয়মান বাড়িটি অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। যে কোনও বাড়ির ভিত তৈরিতে বালি, সিমেন্ট, পাথরের যে অনুপাত থাকার কথা, তা একেবারেই মানা হয়নি। পুকুর ভরাট করতে যে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল, তারও কিছুই মেনে চলা হয়নি। জলাজমি ভরাটের কাজ ঠিকঠাক ভাবে না করেই পাঁচতলা বহুতল তৈরি করায় বিপত্তি বেড়েছে বলে মনে করছেন পুর ইঞ্জিনিয়ারেরা।
পুরসভা সূত্রের খবর, গার্ডেনরিচের নির্মীয়মাণ বহুতলটি বেআইনি হওয়ায় সেখানে এলবিএস (লাইসেন্সড বিল্ডিং সার্ভেয়ার)-এর সাহায্যই নেওয়া হয়নি। সাধারণত, বাড়ির নির্মাণ নকশা তৈরি করেন এলবিএস-রা। পুরসভার বিল্ডিং দফতর সূত্রের খবর, বন্দর এলাকায় অধিকাংশ বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রেই এলবিএস-এর মাধ্যমে অনুমোদিত নকশা নেওয়া হয় না। বাড়ির নকশা কেমন হবে, তা সেখানে সাধারণ রাজমিস্ত্রিরাই ঠিক করেন। গার্ডেনরিচের ঘটনায় ঠেকে শিখে বন্দর এলাকা-সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি বাড়ি চিহ্নিতকরণে বিভিন্ন বরোর এগ্জ়িকিউটিভ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের কঠোর হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy