—প্রতীকী ছবি।
প্রতি সপ্তাহেই ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচিতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ পান যে, কলকাতা পুরসভাকে অভিযোগ জানানো হলেও, তার সুরাহা হয় না। বিশেষ করে, অনলাইনে জানানো অভিযোগের সুরাহা হতে দেরি হয়। এ বার এমন অভিযোগের সুরাহা করতে কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি পুরনো ব্যবস্থা আপডেট করে চালু হয়েছে এক নতুন অনলাইন পদ্ধতি। সেই পদ্ধতিতে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জমা পড়া যাবতীয় অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে। এমনটা না হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী-আধিকারিককে শোকজের মুখে পড়তে হবে।
পুরসভার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে খবর, আপডেট করা এই নতুন পদ্ধতিতে পুরসভার ওয়েবসাইটে ঢুকে অভিযোগ নথিভুক্ত করার সময় বাসিন্দার ফোন নম্বর এবং ইমেল আইডি দিতে হবে। আবার এর মাধ্যমে কোন কর্মী বা আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল, তা-ও জানতে পারবেন বাসিন্দারা। বাসিন্দার ফোন নম্বর ও ইমেল আইডি পুরসভার কাছে থাকার ফলে তাঁর নথিভুক্ত করানো সমস্যার সমাধান হয়েছে কি না, তা সহজেই জানা যাবে।
কলকাতা পুরসভায় ‘গ্রিভান্স সিস্টেম’ নতুন করে সেজে ওঠায় অনলাইন ব্যবস্থায় নাগরিকদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এত দিন অনলাইনে অভিযোগ জানানোর সুযোগ থাকলেও, কিন্তু সেই অভিযোগ কোন বিভাগের কোন কর্মী বা আধিকারিকের কাছে জমা পড়েছে, তিনি সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন, তা বাসিন্দারা জানতে পারতেন না। অভিযোগের নিষ্পত্তি কত দিনে হবে, তারও নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা ছিল না। কিন্তু এ বার পুরসভা যেমন বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে পারবে, তেমনই শহরের বাসিন্দারাও তাঁদের অভিযোগ কার কাছে জানানো হয়েছে, এবং কেন তাঁদের অভিযোগের সমাধান হচ্ছে না, সে সব জানতে পারবেন। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, অভিযোগ নথিভুক্ত হওয়া মাত্রই একটি ই-ফাইল তৈরি হয়ে যাবে। সঙ্গে সঙ্গেই ‘অটো-জেনারেটেড লিঙ্ক’ সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীর মোবইলে এসএমএস এবং ইমেলে চলে যাবে। সেখানে ক্লিক করে তিনি জেনে নিতে পারবেন, কোন বিভাগে, কার কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে।
কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, নতুন এই প্রযুক্তি সংযুক্ত হওয়ায় পুর আধিকারিক এবং কর্মীদের কাছে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। যদি কোনও কারণে সমস্যার সমাধান তাঁরা করতে না পারেন, তাঁরাও যে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন, নতুন পদ্ধতি চালু করে সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছে পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy