(বাঁ দিক থেকে)অসীম বসু, মালা রায়, সজল ঘোষ। — ফাইল চিত্র।
শনিবার তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, শো-কজ়ের জবাব সন্তোষজনক না হলে পুরসভা অধিবেশনে হাতাহাতিকাণ্ডে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ এবং তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় জানালেন, দুই অভিযুক্তের উত্তর সন্তোষজনক। তিনি বলেন, ‘‘দু’জনেই শো-কজ়ের সন্তোষজনক উত্তর দিয়েছেন। ক্ষমাও চেয়েছেন। উত্তরে আমি যথেষ্ট সন্তুষ্ট। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা আলোচনা করে জানানো হবে।’’
গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুরসভার মাসিক অধিবেশনে প্রথমে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজলের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম। পুরসভা সূত্রের খবর, অধিবেশন চলাকালীন মেয়র ফিরহাদ বিরোধী বেঞ্চের উদ্দেশে বলেন, ‘‘বিরোধীরা অধিবেশনে কোনও প্রশ্ন করেন না। বাধ্য হয়ে তাই আমাদের নিজেদের দলের কাউন্সিলরদের দিয়ে প্রশ্ন করাতে হয়।’’ জবাবে নিজের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন সজল। তিনি বলেন, ‘‘প্রশ্ন করব কী? প্রশ্ন করলে তো জবাব দেওয়া হয় না। বিরোধীদের প্রশ্নের কোনও মূল্য আপনাদের কাছে নেই।’’ জবাবে মেয়র বলেন, ‘‘আপনি প্রশ্ন জমা দিন, আমরা আপনাদের সব প্রশ্নের জবাব দেব।’’ পাল্টা সজল আবার বলেন, ‘‘টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে আমি বিগত অধিবেশনে প্রস্তাব জমা দিয়েছিলাম। সেই প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়নি। আসলে পুরসভা যাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁরা তো দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।’’
সজলের ওই মন্তব্যের পরেই তৃণমূল কাউন্সিলরেরা প্রতিবাদ করেন। তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম এগিয়ে যান সজলের দিকে। শুরু হয় তর্কাতর্কি। এর পরেই দু’জনের ধাক্কাধাক্কি হয়। সজলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝা। একে একে তৃণমূল কাউন্সিলরেরাও এগিয়ে এলে শুরু হয় বচসা। তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান সুদীপ পোল্লে এর মাঝে সজলের ঘাড় চেপে ধরেন বলেও অভিযোগ বিজেপির। এমন ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মালা। মঙ্গলবার মালা ইঙ্গিত দিয়েছেন, যে হেতু দু’জনেই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ‘কড়া পদক্ষেপ’ না করার সম্ভাবনা। তবে পুরসভার দলনেতার সঙ্গে আলোচনার পরেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy