Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Cyclone Sitrang

দুর্যোগ-মোকাবিলায় প্রস্ততি কলকাতা ও সংলগ্ন পুরসভাগুলির

ফিরহাদ জানান, কলকাতার বিপজ্জনক বাড়িগুলি ফাঁকা করে বাসিন্দাদের পুরসভার স্কুল ও কমিউনিটি হলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার পুর প্রাথমিক স্কুল বা কমিউনিটি হলেই তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হবে।

কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৩৮
Share: Save:

দুর্যোগের ত্রিফলা আক্রমণের সামনে দাঁড়িয়ে কালীপুজো ও দীপাবলির উৎসব। ঘূর্ণিঝড়, কটাল, বান— পূর্বাভাস রয়েছে তিনটিরই। তাই শুক্রবার থেকেই দুর্যোগের মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কলকাতা-সহ বিভিন্ন পুরসভা। কলকাতায় বিশেষ ভাবে নজর রাখা হচ্ছে বিপজ্জনক বাড়িগুলির উপরে। সেই সঙ্গে কালীপুজোর মণ্ডপের কাঠামো এবং বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থাকে নিরাপদ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এ দিন কলকাতা, বিধাননগর, হাওড়া-সহ একাধিক পুরসভার সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেন।

ফিরহাদ জানান, কলকাতার বিপজ্জনক বাড়িগুলি ফাঁকা করে বাসিন্দাদের পুরসভার স্কুল ও কমিউনিটি হলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার পুর প্রাথমিক স্কুল বা কমিউনিটি হলেই তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হবে।

কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে ফিরহাদের বার্তা, ‘‘দুর্যোগের সময়ে বিপদ এড়াতে মণ্ডপে বাঁশের বাঁধন শক্ত করুন। বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার সময়েও বাড়তি সতর্ক থাকবেন।’’ আজ, শনিবার থেকেই পুরসভার আলো বিভাগের ডিজি সিইএসসি-র প্রতিনিধিদের নিয়ে শহরের বাতিস্তম্ভগুলি পরীক্ষা করবেন, যাতে জলমগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা এড়ানো যায়।

৭৯টি পাম্পিং স্টেশনকে তৈরি রাখার পাশাপাশি নিকাশির জন্য অতিরিক্ত প্রায় ৬০০টি অস্থায়ী পাম্পও মজুত রাখা হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে। বাতিল করা হয়েছে জরুরি সব বিভাগের কর্মীদের কালীপুজোর ছুটি। ফিরহাদ বলেন, ‘‘আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতায় ঝড়ের গতি কম থাকলেও দুই ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরে তা বেশি থাকবে। বৃষ্টির জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’

হাওড়া পুরসভার তরফে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলার কথা জানানো হয়েছে। আজ, শনিবার থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ওই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। ৬২৯২২৩২৮৭০ ও ৬২৯২২৩২৮৭১ নম্বর দু’টিতে ফোন করে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী জানান, বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে, যাতে ঝড়ে গাছ পড়লে বা বাড়ি ধসে গেলে তারা দ্রুত পৌঁছে ব্যবস্থা নিতে পারে। দুর্গতদের জন্য ত্রিপল ও শুকনো খাবারও মজুত আছে বলে তিনি জানান। পদ্মপুকুর জল প্রকল্পের পাম্পগুলি যাতে ডুবে না যায়, তার জন্য বালির বস্তা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। ৫৮টি পাম্প ও ৭টি পাম্প হাউসকে তৈরি রাখা হচ্ছে।

দুর্যোগ মোকাবিলার পরিকল্পনা করেছে বিধাননগর পুরসভাও। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, পুরমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের সতর্ক করা হবে। পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের ঠিকাদারদের বলা হয়েছে, বাতিস্তম্ভ থেকে কোথাও বিপজ্জনক ভাবে তার বেরিয়ে রয়েছে কি না, তা খোঁজ করে পুরসভাকে জানাতে। জল নামাতে ১৪৬টি বিভিন্ন ধরনের পাম্প তৈরি রাখার পাশাপাশি আপৎকালীন সব ব্যবস্থাই করার কথা জানান কৃষ্ণা।

তিনটি কন্ট্রোল রুম খুলছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। একই ব্যবস্থা থাকবে দমদম ও উত্তর দমদমেও। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্ত জানান, পুর ভবনের পাশাপাশি আরও দু’জায়গায় দু’টি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। সেখানে চেয়ারম্যান পারিষদেরা দায়িত্বে থাকবেন। দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, পুরসভার কন্ট্রোল রুম থেকেই দুর্যোগ মোকাবিলার কাজ পরিচালনা করা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Cyclone Sitrang KMC Firhad Hakim
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy