প্রতীকী ছবি।
বকেয়া করের পরিমাণ এক কোটি টাকার বেশি হলে তা আদায়ে রাজস্ব বিভাগের চিফ ম্যানেজারকে ব্যক্তিগত ভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। বকেয়ার পরিমাণ ২৫ লক্ষ টাকা থেকে এক কোটি টাকা হলে, তা ঠিক মতো আদায় করা হচ্ছে কি না, সেটা ব্যক্তিগত ভাবে নিশ্চিত করতে হবে অ্যাসেসর-কালেক্টরকে। প্রতিটি বকেয়া করের জন্য পৃথক পৃথক ফাইল করতে হবে। সেখানে বকেয়া আদায়ে কবে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, কোন তারিখে কত বকেয়া আদায় করা হয়েছে— সেই সংক্রান্ত তথ্য বিশদে নথিভুক্ত থাকবে। কবে শেষ বার কর প্রদান করা হয়েছে, উল্লেখ করতে হবে তা-ও।
বকেয়া কর আদায়ে এ ভাবেই নতুন ফরমান জারি করেছে কলকাতা পুর প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকদের কাছে। এমন নয় যে, বকেয়া কর আদায়ে পদক্ষেপ করে না পুর প্রশাসন। বরং প্রতি বছরই নিয়ম করে কত বকেয়া কর রয়েছে, তার হিসাব কষে সেই অনুযায়ী আদায় করা হয়। পরিসংখ্যান বলছে, গত আর্থিক বছরের তুলনায় চলতি আর্থিক বছরে সোমবার পর্যন্ত কর আদায়ের হার ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তার পরেও পুর প্রশাসনের তরফে বকেয়া আদায়ে জারি করা নতুন নির্দেশ ঘিরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পুর মহলের অন্দরেই। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কর্তৃপক্ষ হয়তো মনে করছেন, বকেয়া কর আদায় হলেও তা পর্যাপ্ত নয়! তাই নতুন করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ মতো আমরা ফাইল তৈরি করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, নির্দেশে বলা হয়েছে, কোনও ক্ষেত্রে বকেয়া আদায় নিয়ে দু’মাসের মধ্যেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি, এমনটা যেন না ঘটে। বাধ্যতামূলক ভাবে দু’মাসের মধ্যে বকেয়া আদায়ে কোনও না কোনও পদক্ষেপ করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, এক কোটি টাকার বেশি বকেয়া রয়েছে, এই সংক্রান্ত ই-ফাইল পুর কমিশনারের কাছে প্রতি মাসে নিয়ম করে পাঠাতে হবে। সংশ্লিষ্ট ই-ফাইলে বকেয়া করদাতার নাম, অ্যাসেসি নম্বর, ওয়ার্ড নম্বর উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি, সরকারি ক্ষেত্রে কত বকেয়া পড়ে রয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য পুর কমিশনারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, সেই বকেয়া আদায়ে পুর কমিশনারই সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, ভবন বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেবেন।
পুর আধিকারিকদের একাংশ আবার জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে সম্পত্তির মালিকের হিসেব করা মূল্যায়ন এবং পুরসভার তরফে করা সম্পত্তির মূল্যায়নের ক্ষেত্রেতারতম্য দেখা দিলে কর বকেয়া থেকে যায়। এমন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, এই জটিলতাগুলি খতিয়ে দেখা হবে এবং সেগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy