Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
R G Kar Hospital Incident

বিজেপির বন্‌ধের মধ্যেই মিছিলে পা মেলাবেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা

শ্যামবাজার থেকে বেলা ১২টায় বেরিয়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ধর্মতলা মোড়ে পৌঁছে যাওয়ার কথা জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিলেরও। ফলে, এক দিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন, অন্য দিকে তখন আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হবেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৪ ০৬:২০
Share: Save:

বিজেপির ডাকা বাংলা বন্‌ধের মধ্যেই আজ, বুধবার মিছিল করবেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। শ্যামবাজার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত সেই মিছিলে যোগ দিতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান জানিয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’। অন্য দিকে, আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে ওই মেডিক্যাল কলেজের প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছে পাঁচটি চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স’।

আজ রেড রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠানে দুপুর ১টায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ দেওয়ার কথা। শ্যামবাজার থেকে বেলা ১২টায় বেরিয়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ধর্মতলা মোড়ে পৌঁছে যাওয়ার কথা জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিলেরও। ফলে, এক দিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন, অন্য দিকে তখন আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হবেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এ দিন নবান্ন অভিযানকে ঘিরে পুলিশি ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে আর জি করে আন্দোলনরত আবাসিক চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘১৪ অগস্ট রাতে যদি আজকের মতো পুলিশি তৎপরতা দেখা যেত, তা হলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটত না।’’

তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন আর জি করের সেমিনার কক্ষ সংলগ্ন এলাকার একটি ভিডিয়ো (আনন্দবাজার পত্রিকা যার সত্যতা যাচাই করেনি) প্রকাশ্যে এসেছে। সেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যাও দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন সাংবাদিক
বৈঠক করেন ওই হাসপাতালের প্রাক্তনীরা। তাঁরা জানান, পুলিশ দাবি করেছে, ৫১ ফুটের মধ্যে ৪০ ফুট ঘেরা ছিল এবং বাকি অংশের মধ্যে লোকজন ছিল। তাঁদের প্রশ্ন, দেহ উদ্ধারের পরে কী ভাবে বোঝা গেল যে, ওই অংশের মধ্যেই ঘটনা ঘটেছিল এবং বাকি অংশে কিছু
হয়নি? চিকিৎসক দেবাশিস সোম, আইনজীবী শান্তনু দে, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের কর্মী প্রসূন চট্টোপাধ্যায় এবং কয়েক জন বহিরাগত চিকিৎসক ঘটনাস্থলে কী ভাবে এসেছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই সমস্ত সংশয় সিবিআইকে লিখিত ভাবে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই প্রাক্তনীরা।

অন্য দিকে, ন্যাশনাল মেডিক্যালে প্রতিদিন হাজিরা খাতায় সই করে বেরিয়ে যেতেন প্রসূন। তার পরে সারা দিন কাটাতেন আর জি করে। দিনের পর দিন এই কাণ্ড চললেও কেন তা আটকানো হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ দিন ন্যাশনাল মেডিক্যালের সুপারের ঘরে তালা দিয়ে দেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। চলে বিক্ষোভও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE