উপাচার্যকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।
ফের ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এ বার পড়ুয়াদের দাবি, অবিলম্বে চালু করতে হবে ছাত্রসংসদ নির্বাচন। বিক্ষোভের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন সেন। তাঁকে স্ট্রেচারে করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বরাবরের মতো, এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্য সমিতি বা এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠককে কেন্দ্র করেই আন্দোলনের অভিমুখ সাজিয়েছিল ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের মূল দাবি ছিল, দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির নেতৃত্বেই সকাল থেকে শুরু হয়েছিল আন্দোলনের প্রস্তুতি।
দুপুর দু’টোয় কার্য সমিতি বৈঠকের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট থেকে বেরিয়ে রাজা সুবোধ মল্লিক রোড ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেট হয়ে একটি মিছিল ক্যাম্পাস পরিক্রমা করে। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির পাশাপাশি, কর্মচারীদের তরফে সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যরা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দিতে সিসিটিভি লাগানোর দাবিতে মুখর হন। অন্য দিকে ক্যাম্পাসে যৌন হেনস্থা রোখার দাবিতে সরব হয় টিএমসিপিও।
আরও পড়ুন: প্রশ্নপাচার আটকাতে উচ্চমাধ্যমিকে নয়া নির্দেশ এবার পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে ১ ঘণ্টা আগে
দুপুর দু’টোয় অরবিন্দ ভবনে নির্দিষ্ট সময়েই শুরু হয় প্রশাসনিক বৈঠক। মিটিং- স্লোগানে তখন ভরপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। বৈঠক শেষের পর উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বেরিয়ে তাঁর গাড়িতে উঠতে গেলে এক নম্বর গেটের কাছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা তাঁর কাছে জানতে চায়, ইউনিয়নের দাবি নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপাচার্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য তাদের বুধবার আবার ডাকেন। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত জানাতে বলে চাপ দেয় উপাচার্যকে। একই সঙ্গে লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়ে দেয় পড়ুয়ারা।
ছাত্রসংসদের দাবিতে পড়ুয়াদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
উত্তেজক পরিস্থিতির মধ্যে ছাত্র সংগঠনগুলির নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে বেশ কয়েক জন ছাত্র অসুস্থও হয়ে পড়েন। এক ছাত্রকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আহত হয় দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন। তখন প্রশাসনিক ভবনে ফিরে যান উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
আরও পড়ুন: আজও প্রশ্ন পাচার, বিরোধীরা বলল ‘মাধ্যমিক যেন যুবরাজ, ছয় বলে ছ’টা ছয়’
এর পরই উপাচার্যের অসুস্থ হওয়ার খবর আসে প্রশাসনিক ভবন থেকে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে স্ট্রেচারে করে বাইরে নিয়ে আসা হয়। তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে। উপাচার্য এখন সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে।
পড়ুয়াদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে কলেজ নির্বাচন হলে কোনও প্রশাসনিক সহায়তা পাওয়া যাবে না। তাই এই মুহূর্তে কলেজ নির্বাচন হওয়া বেশ কঠিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy