যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। বুধবার। যাদবপুর ক্যম্পাসে। —নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব বিচার করে ‘স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট’ চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন নয়া উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, যত দ্রুত সম্ভব এই ‘স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টে’ সিসি ক্যামেরা বসানাের কাজ শেষ হবে। এমনকি, যে জায়গাতে সিসি ক্যামেরায় কাজ হবে না, সেখানে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষীও মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নয়া উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের কোন কোন জায়গাকে ‘স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট’ হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, মেন হস্টেল বা অন্য হস্টেলে কি সিসি ক্যামেরা বসবে কি না সে বিষয়ে বিশদ জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘মেন হস্টেল এবং অন্যান্য হস্টেলের মেন গেটেও সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেশ কিছু জায়গাকে সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।’’ ইতিমধ্যেই ওয়েবেলের সঙ্গে সিসি ক্যামেরা লাগানোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যোগাযোগও করেছেন বলে জানান তিনি। তবে একই সঙ্গে উপাচার্য এ-ও জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আর কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা বসবে সে ব্যাপারে এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের (ইসি) বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি নির্দেশিকা অনুযায়ীই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নজরদারির ব্যাবস্থা রাখতে হয়। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দীর্ঘ চেষ্টার পরেও অধিকাংশ এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো যায়নি। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের তথাকথিত ‘নেতা’দের দায়ী করেছিল একটি মহল। তারা এমনও বলেছিল, এঁদের কাছে বাধা পেয়েই যাদবপুর ক্যাম্পাসে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও সিসি ক্যামেরা বসানো যায়নি। কিন্তু গত ৯ অগস্টের ঘটনার পর এই সিসি ক্যামেরা না থাকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। তার পরেই যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার প্রায় ১৩ দিনের মাথায় শুরু হল যাদবপুরে সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া। তবে নজরদারির জন্য শুধু সিসি ক্যামেরা নয় আরও বেশ কিছু বিকল্প ভেবেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব।
বুধবার বুদ্ধদেব বলেন, ‘‘নজরদারি তো অবশ্যই প্রয়োজন। ইউজিসি-র নির্দেশিকাতেই তেমন বলা আছে। কিন্তু নজরদারি কি শুধু সিসি ক্যামেরাতেই হতে হবে। এমন অনেক জায়গা আছে যে খানে সিসি ক্যামেরার নজরদারিও যথেষ্ট নয়। সে সমস্ত জায়গায় নিরাপত্তারক্ষী রাখার কথাও মাথায় আছে আমাদের। এ ছাড়া বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার পরামর্শ নিতে পারি। এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর আরএফআইডি অর্থাৎ রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশনের ব্যবস্থা করা যায় কি না সে ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy