প্রতীকী চিত্র।
কসবা-কাণ্ডের জেরে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ও কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগকেও প্রতিষেধক শিবিরের উপরে নজরদারি চালাতে শনিবার একগুচ্ছ নিদান দিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সরকারি, বেসরকারি সমস্ত প্রতিষেধক শিবিরের তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও বেসরকারি শিবির নিয়ে আপাতত মাথা ঘামাতে হচ্ছে না পুরসভা বা জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। কারণ, বেসরকারি হাসপাতালে করোনা প্রতিষেধক দেওয়া হলেও তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন এলাকা বা কর্মক্ষেত্রে আয়োজিত শিবির আজ, সোমবার থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
তবে কলকাতা পুরসভার বরো কোঅর্ডিনেটরদের একাংশের বক্তব্য, পরিস্থিতি ভবিষ্যতে স্বাভাবিক হলে, অর্থাৎ বেসরকারি উদ্যোগে শিবিরের অনুমোদন পেলেও কসবা-কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পুর স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বরো কোঅর্ডিনেটর, ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর, পুলিশ ও নাগরিককেও সতর্ক হতে হবে।
তাঁদের মতে, সরকার স্বীকৃত কেন্দ্র বা শিবির থেকে প্রতিষেধক নেওয়া নিরাপদ। এ ব্যাপারে ব্যাপক সচেতনতা প্রচারেরও প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। পুরসভার এক নম্বর বরোর কোঅর্ডিনেটর তরুণ সাহা জানাচ্ছেন, বর্তমানে তাঁর বরোয় ১২টি প্রতিষেধক প্রদানের শিবির চলছে। সবক’টিই সরকার স্বীকৃত। প্রতিদিন সেখান থেকে গড়ে দু’হাজার জন প্রতিষেধক নিচ্ছেন। তরুণবাবুর কথায়, ‘‘পুর স্বাস্থ্য দফতর দৈনিক ভিত্তিতে যেখানে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিষেধক সরবরাহ করছে, সেখানে অন্য কোনও শিবিরে যাওয়ার দরকার কি?’’ প্রসঙ্গত, কোনও ঝুঁকি না নিয়ে পুরসভার স্বীকৃত স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাসপাতাল (সরকারি বা সরকার স্বীকৃত বেসরকারি) থেকে প্রতিষেধক নিতে নাগরিকদের কাছে শনিবারই আবেদন করেছেন কলকাতার পুর-প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
যদিও কসবা-কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে বিরোধীদের প্রশ্ন, পুলিশ প্রশাসন প্রতিষেধক শিবিরের মতো ‘স্পর্শকাতর’ বিষয়ে কেন ওয়াকিবহাল থাকবে না? এ বিষয়ে স্থানীয় থানা-ওয়ার্ড অফিসের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং নজরদারিতে গাফিলতি রয়েছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। যার উত্তরে ১০ নম্বর বরোর কোঅর্ডিনেটর তপন দাশগুপ্ত বলছেন, ‘‘ওয়ার্ড এবং বরো কোঅর্ডিনেটরেরা সতর্কই থাকেন। কসবা ঘটনা দিয়ে পুরো পরিস্থিতি বিচার করা উচিত নয়। প্রতিষেধক নিয়ে আমাদের বরোয় মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। সচেতনতার উপরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’’
প্রতিষেধক নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য মাইকে প্রচার, সরকার স্বীকৃত কেন্দ্র থেকে প্রতিষেধক নিতে নাগরিকদের উৎসাহ দেওয়া-সহ একাধিক পদক্ষেপের পক্ষে সওয়াল করছেন বরো কোঅর্ডিনেটরেরা। সেই প্রক্রিয়া আগামী দিনেও বজায় থাকবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। সরকারি কেন্দ্র এবং শিবিরের তালিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচারও শুরু করেছে পুরসভা। ন’নম্বর বরোর কোঅর্ডিনেটর রতন মালাকার বলছেন, ‘‘শুধু বরো কোঅর্ডিনেটরই নন, স্থানীয় বাসিন্দাদেরও এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার দরকার রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy