ফাইল চিত্র।
রাজধানী এক্সপ্রেসে চোর সন্দেহে আইআরসিটিসির এক ওয়েটারকে চড় মারার অভিযোগ উঠল এক যাত্রীর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার ধুন্ধুমার বেধে গেল হাওড়া স্টেশনে। সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ হয়ে গেল টিকিয়াপাড়ায় পূর্ব রেলের কোচিং শেডেও। ক্ষুব্ধ রেলকর্মীদের অভিযোগ, শুধু ওই ওয়েটারকে চড় মারাই নয়, চোর অপবাদ দেওয়া হয়েছে ট্রেনের এক অ্যাটেন্ড্যান্টকেও। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ট্রেনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকেই সব সমস্যার সমাধান করে রেল পুলিশ। তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, যাত্রীর ব্যাগ চুরি করেছে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সকালে। রাজধানী এক্সপ্রেসের টু টিয়ারের যাত্রী ছিলেন কলকাতার বাসিন্দা ফারহা খান নামে এক মহিলা। তিনি দিল্লি থেকে একাই ফিরছিলেন। হাওড়া রেল পুলিশ জানাচ্ছে, সকাল ৬টা নাগাদ ঘুম ভাঙার পরে মহিলা বুঝতে পারেন তাঁর ব্যাগ চুরি গিয়েছে। ঠিক সেই সময়েই আইআরসিটিসির এক ওয়েটার মহিলাকে চা দিতে যান। অভিযোগ, মহিলা উত্তেজিত হয়ে ওই ওয়েটারকে চড় মারেন। সেই সঙ্গে ওয়েটার এবং কোচ অ্যাটেন্ড্যান্টের যোগসাজশে ওই চুরি হয়েছে বলে প্রকাশ্যেই অভিযোগ করতে থাকেন।
ওই ঘটনার পরে পরেই দিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেসের আইআরসিটিসির কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে দেন। চেঁচামেচি শুনে ট্রেনের পাহারায় থাকা আরপিএফ কর্মীরাও ওই কামরায় ছুটে যান। আইআরসিটিসির কর্মীদের অভিযোগ, আরপিএফ-ও চুরির দায় তাঁদের ওই কর্মী এবং কোচ অ্যাটেন্ড্যান্টের উপরে চাপিয়ে দেয়। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ রাজধানী এক্সপ্রেস হাওড়ায় ঢুকতেই ঘটনার খবর পৌঁছয় টিকিয়াপাড়া কোচিং ইয়ার্ডে। প্রতিবাদে কাজ বন্ধ করে দেন সেখানকার কর্মীরা।
ফারহা খান নামে ওই মহিলা হাওড়া জিআরপি থানায় অভিযোগ করতে গেলে সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আইআরসিটিসির কর্মীরা। সঙ্গে যোগ দেন রেলের কর্মীরাও। তাঁরা রাজধানীর কামরায় থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোরকে শনাক্ত করার দাবি জানান রেল পুলিশের কাছে। তাঁদের অভিযোগ, ইদানীং ট্রেনে কারও কিছু চুরি গেলেই আইআরসিটিসি-র কর্মীদের উপরে সেই দায় চাপানোর চেষ্টা হয়। এ দিনও তা-ই হয়েছে।
উৎপল দেবনাথ নামে আইআরসিটিসির ওই কর্মীর অভিযোগ, ‘‘আমি সকালে ম্যাডামকে চা দিতে গেলেই উনি আমাকে চড় মারতে শুরু করেন। বারবার
বলতে থাকেন আমিই নাকি ওঁর ব্যাগ চুরি করেছি।’’
যদিও এর পরে রেলের থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আনিয়ে জিআরপি থানায় পরীক্ষা করা হয়। রেল পুলিশ জানায়, আইআরসিটিসি বা কোচ অ্যাটেনড্যান্ট নয়, চুরি করেছে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি। এর পরেই বিক্ষোভকারীরা অভিযোগকারী মহিলাকে লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেন। মহিলা অবশ্য তাঁর অভিযোগ তুলে নেন। ওই ঘোষণার পরেই বিক্ষোভ থামে। কর্মবিরতি উঠে কাজ শুরু হয় টিকিয়াপাড়া কোচিং ইয়ার্ডেও।
পরে থানা থেকে বেরিয়ে ফারহা বলেন, ‘‘ট্রেনে চুরি হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ করার পরে এত কাণ্ড হবে বুঝতে পারিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy