মানিকতলা থানা।—ফাইল চিত্র।
খবর প্রকাশ্যে আসতেই মারধরের ঘটনার তদন্তে জোর তৎপরতা মানিকতলা থানায়। রবিবার সকালেই থানা থেকে ফোন করে ডেকে পাঠিয়ে অভিযোগকারীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারির আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি, ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও নেওয়া হয়েছে অভিযোগকারীদের কাছ থেকে। অভিযোগকারীর স্ত্রী রিমা সামন্ত বলেন, ‘‘আমাদের দোকানের সিসি ক্যামেরায় সব ধরা পড়েছিল। প্রথমে এই ফুটেজই পুলিশকে দিতে চাওয়া হলে তারা নিতে চায়নি। এ বার আশাকরি অভিযুক্তেরা ধরা পড়বে।’’
গত ১৩ অগস্ট মানিকতলা থানার বিরুদ্ধে ইস্টার্ন সাবার্বান ডিভিশনের (ইএসডি) দফতরে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেন রিমাদেবী। তাঁর অভিযোগ, গত ২৫ জুলাই রাতে তাঁদের বিরিয়ানির দোকান থেকে দাম না মিটিয়েই বিরিয়ানি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কয়েক জন যুবক। বাধা দিতে গেলে তাঁর স্বামী সুদীপকে বেধড়ক মারধর করেন তাঁরা। সুদীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এত দিনে স্রেফ এক জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের ধরা না হলেও তাঁদের লোক জন নানা ভাবে রিমাদেবীদের মামলা তুলে নেওয়ার চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এমনকি, কাউকে ধরা হচ্ছে না কেন জানতে থানায় গেলেই ওসি তাঁদের সামনেই একের পর এক তদন্তকারি অফিসার বদল করেছেন বলে দাবি রিমাদেবীদের।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হয়েছে মানিকতলা থানা। জানা গিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। রবিবার মুরারিপুকুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় হানাও দিয়েছে পুলিশ। যদিও এ দিন রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও গ্রেফতারির কথা জানাতে পারেনি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy