প্রতীকী ছবি।
রেললাইনে মিলেছিল দেহ। কলেজের সেই অধ্যাপকের মৃত্যু-রহস্যের জট কাটাতে ওই সময়ে সেখান দিয়ে কোন কোন ট্রেন গিয়েছিল, তা জানতে রেলকে চিঠি দেবেন তদন্তকারীরা।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ বিধাননগর রোড স্টেশনের কাছে এক নম্বর আপ লাইনের উপরে একটি দ্বিখণ্ডিত দেহ পাওয়া যায়। পরে জানা যায়, দেহটি নিখোঁজ অধ্যাপক অভিজিৎ শর্মা রায়ের (৫১)। তিনি মৌলানা আজ়াদ কলেজে ইংরেজি বিভাগের প্রধান ছিলেন।
এক তদন্তকারী জানান, যে সময়ে দেহটি উদ্ধার করা হয়েছিল, তার আগে কোন কোন ট্রেন সেই লাইন দিয়ে গিয়েছিল, সেটাই জানতে চাওয়া হবে। কারণ, তাঁদের অনুমান, ট্রেনের ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই অধ্যাপকের। তবে এ বিষয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ হিসেবে তাঁর দাবি, বুধবার পর্যন্ত ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী মেলেনি। তাই ঠিক কী ভাবে ওই অধ্যাপক মারা গেলেন, তা এখনও জানা যায়নি। সেই কারণে এখন এক জন প্রত্যক্ষদর্শীকে খুঁজে পেতে চেষ্টা করছেন তাঁরা। আর সেই জন্যই ট্রেনের তালিকা পেলে সংশ্লিষ্ট চালকদের ডেকে পাঠানো হবে। জিজ্ঞাসা করা হবে, সে দিন তাঁরা কিছু দেখেছেন কি না। বুধবার বিকেল পর্যন্ত পরিবারের তরফে কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।
এ দিকে, হাসিখুশি ওই শিক্ষকের এমন পরিণতি মানতেই পারছেন না তাঁর পরিচিতেরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, অভিজিৎবাবু পাড়ায় ততটা মেলামেশা না করলেও তাঁকে প্রায়ই দেখা যেত। কী ভাবে এবং কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা জানতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অন্য দিকে, সূত্রের খবর, এই ঘটনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শিক্ষকের পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি ওই অধ্যাপকের কলেজে কোনও গোলমাল হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও অভিজিৎবাবুর পরিবারের তরফে কেউ মন্তব্য করতে চাননি। কলেজের কারও সঙ্গে সম্প্রতি তাঁর কোনও গোলমাল হয়েছিল কি? এ বিষয়ে মৌলানা আজ়াদ কলেজের অধ্যক্ষ শুভাশিস দত্ত বলেন, “আমার কিছু জানা নেই। এ নিয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি।”
শুভাশিসবাবু জানান, অভিজিৎবাবু খুবই হাসিখুশি স্বভাবের ছিলেন। তিনি অবসাদে ভুগছিলেন কি না, তা-ও তাঁদের জানা নেই। যে দিন ঘটনাটি ঘটে, তার আগে এক দিন অভিজিৎবাবু কলেজে যাননি। কিন্তু তার আগে নিয়মিত কলেজে গিয়েছেন এবং ক্লাসও নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy