প্রতীকী ছবি।
মাথায় রক্তক্ষরণ নিয়ে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউয়ে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাখতে হয়েছিল ভেন্টিলেশনেও। এত করেও শেষরক্ষা হল না। চেতলা সেতুতে দুর্ঘটনায় জখম তাপস পাল (৩৫) রবিবার সকালে মারাই গেলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় স্ত্রী সুস্মিতাকে নিয়ে বাজার থেকে ফিরছিলেন গোবিন্দ আঢ্য রোডের বাসিন্দা তাপস। তাঁরা যখন বাড়ি থেকে বড়জোর ১০০ মিটার দূরে, আচমকা বিকট শব্দে কিছু একটা ফাটার আওয়াজ হয়। পাল দম্পতি কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি অটো হুড়মুড়িয়ে এসে তাঁদের ধাক্কা মারে। দু’জনেই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। তাঁদের উপরে পড়ে যাত্রী-সমেত অটোটি।
চোখের সামনে ওই দুর্ঘটনা দেখে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। দেখা যায়, সামনের চাকা ফেটে যাওয়াতেই অটোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন চালক। গাড়ির সামনে তাপস ও সুস্মিতা থাকায় সেটি তাঁদের উপরে গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আহত অটোচালক, যাত্রী এবং পাল দম্পতিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে পুলিশ নিয়ে যায় নিউ আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। বাকিদের চোট সামান্য থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও তাপসের মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। তাঁকে আইসিইউয়ে ভর্তি করতে হয়।
কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালের খরচ বহন করা সম্ভব ছিল না ওই যুবকের পরিবারের। তাই পরের দিন খবরটি জেনে তাপসকে এসএসকেএমে স্থানান্তর করানোর ব্যবস্থা করেন মেয়র। সেই মতো তাঁকে এসএসকেএমের আইসিইউয়ে ভর্তি করানো হয়। মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে অবস্থা ক্রমে খারাপ হতে থাকে। তাপসকে ভেন্টিলেশনেও রাখতে হয়। এ দিন সকালে অবস্থা আরও খারাপ হয় তাঁর। আর বাঁচানো যায়নি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পেশায় রাজমিস্ত্রি তাপসের ছ’বছরের একটি ছেলে আছে। পড়শিরা জানিয়েছেন, এ দিন পাশের পাড়ার ওই যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাপসের বাড়িতে আসেন ফিরহাদ। তিনি তাপসের ছেলের পড়াশোনার দায়িত্বের পাশাপাশি স্ত্রীকেও আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন বলে দাবি পড়শিদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy