মোট যানবাহনের মধ্যে বাণিজ্যিক যানের সংখ্যা পাঁচ শতাংশ হলেও তারা দূষণের ৬৫-৭০ শতাংশের জন্য দায়ী। ফাইল ছবি।
পুরনো গাড়ি বাতিল করে দূষণ কমানোর প্রসঙ্গ বুধবারের বাজেটে তুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক গাড়ি ভাঙার কারখানা না হওয়া পর্যন্ত ওই ঘোষণাই সার বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ, দেশে প্রথম গাড়ি ভাঙার কারখানা চালু হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বরে। পরে কেন্দ্র প্রতি জেলায় পর্যাপ্ত গাড়ি ভাঙার কারখানা তৈরি করার কথা বললেও সেটা কত দিনে হবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছে।
এই রাজ্যের পরিবহণ দফতর ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, কারখানা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পুরোদমে পুরনো গাড়ি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘পুরনো গাড়ি বাতিল করলেই তো হবে না। তার প্রক্রিয়াকরণও যথাযথ হওয়া প্রয়োজন।’’ বাজেটে অর্থমন্ত্রী এ-ও আশ্বাস দিয়েছেন, পুরনো গাড়ি ও অ্যাম্বুল্যান্স বাতিল করতে রাজ্য সরকারকে সাহায্য করবে কেন্দ্র। কার্বন নিঃসরণ-শূন্য নীতি রূপায়ণের জন্যই এই পদক্ষেপ।
যদিও পরিবেশ গবেষণাকারী সংস্থা ‘সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ (সিএসই)-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে, কলকাতা-সহ দেশে পুরনো গাড়ির পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আগামী দু’বছর, অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে আয়ু ফুরনো গাড়ির সংখ্যা দাঁড়াতে চলেছে প্রায় দু’কোটি! আবার কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পুরনো এক সমীক্ষা জানাচ্ছে, মোট যানবাহনের ১৩ শতাংশ ট্রাক, ৮ শতাংশ বাস, ৫ শতাংশ তিন চাকার গাড়ি, ৩ শতাংশ গাড়ি ও ৭ শতাংশ দু’চাকার যানের বয়স ১৫ বছরের উপরে। ওই সব যানবাহনের বর্তমান বয়স ২০ পেরিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সড়ক ও হাইওয়ে মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, মোট যানবাহনের মধ্যে বাণিজ্যিক যানের সংখ্যা পাঁচ শতাংশ হলেও তারা দূষণের ৬৫-৭০ শতাংশের জন্য দায়ী। এর মধ্যে পুরনো গাড়ি নতুন যানের তুলনায় ১০-২৫ গুণ বেশি দূষণ ছড়ায়। পরিবেশ আদালতে এই মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত বলছেন, ‘‘পুরনো গাড়ি বাতিল নিয়ে গত ১৫ বছর ধরে মামলা চলছে। এখনও কলকাতা ও হাওড়ার রাস্তায় পুরনো গাড়ি বন্ধ করা গেল না। ফলে বাজেটের ঘোষণার যত ক্ষণ না বাস্তবায়ন হচ্ছে, তার গুরুত্ব নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy