প্রতীকী ছবি।
সন্ধ্যা নামতেই ছেঁকে ধরছে মশার পাল। দরজা-জানলা বন্ধ করেও নিস্তার মিলছে না। শীতের শুরুতেই মশার উপদ্রব বাড়ার অভিযোগ আসছে বিধাননগর পুর এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে। খাল সংলগ্ন এলাকায় এই উপদ্রব একটু বেশি বলেই দাবি বাসিন্দাদের।
প্রশ্ন উঠছে, তবে কি করোনা আবহে মশা দমনের কাজে সে ভাবে মনোযোগ দেননি পুর কর্তৃপক্ষ? যদিও পুরসভা দাবি করছে, পুজোর সময় থেকেই বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঝোপ, জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়েছে। কোথাও জমা জল রয়েছে কি না তা দেখার পাশাপাশি বাসিন্দাদের সচেতন করতে প্রচারও হচ্ছে।
বাস্তব ছবিটা এই দাবির থেকে বেশ খানিকটা আলাদা। ফাঁকা জমিতে, খালের ধারে এখনও দেখা যাচ্ছে ঝোপঝাড়। যত্রতত্র পড়ে আবর্জনা, থার্মোকলের থালা। যেমন, সল্টলেকের ইই ব্লক। সেখানকার একটি ফাঁকা জমি ভরে আছে ঝোপঝাড়ে। ফেলে রাখা বাতিল জিনিসে জমে জল। সল্টলেক, বাগুইআটি, কেষ্টপুর-সহ সংযুক্ত এলাকাতেও দেখা যাচ্ছে এমনই ছবি। বাগুইআটির সুমিতা বসাক জানান, অন্য বছর এই সময়ে পুরকর্মীরা মশার তেল ছড়ান, ধোঁয়া দেন। এ বার সে সব দেখা যায়নি।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোভিড আবহে মশা দমনে বাড়তি সক্রিয়তার প্রয়োজন ছিল পুরসভার। তা না থাকায় মশার দাপটে জেরবার হতে হচ্ছে। এই সময়ে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়লে সাধারণ মানুষ ও পুরসভা সকলের পক্ষেই তা বিপজ্জনক হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের দাবি, শুধু ঝোপঝাড় পরিষ্কার নয়, উদ্যান ও বিভিন্ন নির্মীয়মাণ বাড়িগুলিতে পুরসভা নজরদারি চালাক।
যাবতীয় অভিযোগের বিরোধিতায় পুরসভার সম্বল তথ্য। পুরসভা সূত্রের খবর, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত দেড়শো জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরের ঘরেই এ বার ডেঙ্গি হানা দিয়েছে। এর পরেও পূর্ববর্তী বছরগুলির ডেঙ্গি আক্রান্তের পরিসংখ্যান দেখিয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি, “অন্যান্য বছর এই সময়ে পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হাজার পার করে। এ বার তা অনেক কম।”
বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীরও দাবি, “পুরকর্মীরা সক্রিয় আছেন। ওয়ার্ড প্রতি ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করে ঝোপ, জঙ্গল সাফ করা হয়েছে। করোনা ও ডেঙ্গি রোধে লাগাতার কাজ হচ্ছে। নিয়মিত তেল ছড়ানো থেকে একাধিক পদক্ষেপ করছে পুরসভা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy