লালবাজার। ফাইল চিত্র।
তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত বা সাক্ষীকে তলব করতে হলে অথবা সমন পাঠিয়ে ডাকতে হলে তা নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে করতে হবে। লালবাজারের তরফে প্রতিটি থানাকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কাকে, কখন সমন পাঠানো হয়েছে, কিংবা কার কাছে তদন্তের নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে, তা নির্দিষ্ট রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে। তা না হলে তদন্তকারী অফিসার কিংবা ওসি-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে কোনও অভিযুক্ত বা সাক্ষীকে ডেকে পাঠানো হলে, থানায় তার জেনারেল ডায়েরি করে রাখতে হবে বলে সোমবার থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।
তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝেই অভিযোগ ওঠে, তাঁরা আইন মেনে অভিযুক্ত বা সাক্ষীকে তলব করেন না। এমনকি, নোটিস দেওয়ার বদলে মৌখিক ভাবে ডেকে পাঠিয়ে কথা বলা হয় বলেও অভিযোগ। যা সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। এর ফলে পরবর্তী সময়ে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, গাফিলতিরও আশঙ্কা থাকে। পুলিশের এক কর্তা জানান, দিল্লি হাই কোর্ট ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১এ, ৯১, ১৬০ এবং ১৭৫ ধারায় সমন জারি করা নিয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। যা সব থানাকে মেনে চলতে বলা হয়েছে। এতে কাজে যেমন সুবিধা হবে, তেমনই বেআইনি ভাবে ডেকে পাঠানো বন্ধ হবে।
কী বলা হয়েছে নির্দেশে? ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১এ (অভিযুক্তকে ডেকে পাঠানো), ৯১ (নথি জমা দেওয়ার জন্য ডাকা), ১৬০ ও ১৭৫ (তদন্তের স্বার্থে সাক্ষীকে তলব) ধারায় কাউকে সমন পাঠানো হলে তার জন্য পৃথক রেজিস্টার রাখতে হবে প্রতিটি থানাকে। তাতে কবে, কাকে নোটিস বা সমন পাঠানো হচ্ছে, তার বিস্তারিত যেমন থাকবে, তেমনই থানায় তা জেনারেল ডায়েরি হিসাবেও নথিভুক্ত রাখতে হবে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, কোনও মহিলা বা নাবালককে সাক্ষী হিসাবে থানায় সমন বা নোটিস দিয়ে ডাকা যাবে না। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ওই নোটিস পাঠানোর জন্য নির্দিষ্ট ফরম্যাট করে দেওয়া হয়েছে। যা সবাইকে মেনে চলতে বলা হয়েছে।’’ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত বা সাক্ষীকে থানায় নোটিস পাঠিয়ে ডাকা হলে তাঁর পরিচয়পত্রের প্রতিলিপি রাখতে বলা হয়েছে জেনারেল ডায়েরির সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy