জল সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কলকাতা পুরসভার দুই নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন। প্রতীকী চিত্র।
পানীয় জল নিয়ে সমস্যা হলে একই শহরের বাসিন্দাদের জন্য দু’রকম নিয়ম। কেন এমন নিয়ম, শনিবার কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে এমন প্রশ্নই তুললেন ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, পুরসভার অন্তর্গত ১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত বাসিন্দাদের জলের লাইনের ফেরুল বন্ধ হলে বা জল সরবরাহে কোনও সমস্যা হলে পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগ কোনও রকম অর্থ ছাড়াই তা ঠিক করে দেয়। কিন্তু ১০১ থেকে ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ফেরুল পরিষ্কার করা জন্য কর্পোরেশনকে ফির দিতে হয়।
পুরসভা যে ঠিকাদারদের জলের সমস্যা ঠিক করতে পাঠায়, তাঁদেরও পৃথক চার্জ দিতে হয় বলে অভিযোগ রূপকের। জবাবে মেয়র বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার সংযুক্ত এলাকায় এই ধরনের কাজ করে থাকে ঠিকাদারি সংস্থা। তাঁরা কাজ করে দিলে বাসিন্দাদের থেকেই অর্থ নেওয়া হয়। কলকাতা পুরসভার নিজস্ব গ্যাং রয়েছে। কলকাতার মধ্যে কোনও সমস্যা হলে, তাঁরাই সমাধান করে দেন। কিন্তু সংযুক্ত এলাকায় আমাদের তেমন লোকবল নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের কাছে কলকাতা মানে কলকাতা, সংযুক্ত এলাকা বলে কিছু হয় না। কলকাতাতে যাতে সবার জন্য একই নিয়ম হয়, আমরা সেই কাজই করব।’’
১৯৮৫ সালে যাদবপুর, বেহালা ও গার্ডেনরিচ এলাকায় কলকাতা পুরসভার অধীনে আসে। সেই সময় জলের লাইনের ফেরুল বন্ধ হলে বা জল সরবরাহে কোনও সমস্যা হলে পুরসভা নিজের উদ্যোগেই তা ঠিক করে দেয়। আর সংযুক্ত এলাকায় ওই ধরনের কোনও সমস্যা দেখা দিলে, তা ঠিক করে কলকাতা পুরসভায় অস্থায়ী ভাবে কর্মরত ঠিকাদাররা। ২০১৫ সালে জোকা-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ১৪২,১৪৩ ও ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড করা হয়েছে জোকার ওই পঞ্চায়েত এলাকাগুলিকে। সংযুক্ত এলাকা হওয়ায় সেখানেও একই সমস্যা রয়ে গিয়েছে। তবে মেয়রের আশ্বাস কলকাতা শহরকে তাঁরা একটি পদ্ধতিতেই পরিষেবা দিতে চান। তাই পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy