ফাইল ছবি
রসিকা জৈন মৃত্যু-মামলার তদন্তভার কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের হাতেই রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে বিচারপতি শম্পা সরকার এই মামলায় সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মৃতার শ্বশুরবাড়ির তরফে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তার শুনানিতেই খারিজ করে দেওয়া হয় ওই আবেদন।
গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি আলিপুরের ডি এল খান রোডে শ্বশুরবাড়ির চত্বর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রসিকাকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরের দিনই রসিকার স্বামী কুশল আগরওয়াল ও তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতার পরিবার। এফআইআর দায়ের হলেও দীর্ঘ আইনি লড়াই চলতে থাকে। অবশেষে গত ১৩ জুলাই রসিকার স্বামী কুশলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৬ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকার পরে ফের তাঁকে আদালতে তোলা হলে ৮ অগস্ট পর্যন্ত ধৃতকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
এর মধ্যেই পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় রসিকার পরিবার। সেই শুনানিতেই বিচারপতি শম্পা সরকার এই মামলার তদন্তে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের নির্দেশ দেন। সেই দলের মাথায় বসানো হয় আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনকে। ওই নির্দেশের বিরুদ্ধেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল আগরওয়াল পরিবার। তাদের দাবি ছিল, অভিযুক্ত তদন্তে সহযোগিতা করছেন। ফলে সিট গঠনের প্রয়োজন নেই। সেই আবেদন অবশ্য এ দিন খারিজ হয়ে যায় হাই কোর্টে। আগরওয়াল পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘আদালতে আইনি লড়াই চালানো হবে। আদালতের সমস্ত রায়ই মাথা পেতে নেওয়া হবে।’’
রসিকার বাবা মহেন্দ্রকুমার জৈনও বলেন, ‘‘আগরওয়াল পরিবারের সমস্ত আবেদনই আদালতে ধাক্কা খাচ্ছে। এই মামলায় অন্য দুই অভিযুক্তও দ্রুত গ্রেফতার হবে, এই আশা রাখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy