Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Kolkata Doctor Rape and Murder

সিবিআই দফতরে আরজি করের বিভাগীয় প্রধান ও প্রাক্তন সুপার, নথি নিয়ে হাজির টালা থানার ওসিও

আরজি কর হাসপাতালের বেশ কয়েক জন আধিকারিককে বৃহস্পতিবার তলব করেছিল সিবিআই। ডাকা হয়েছিল কয়েক জন চিকিৎসক-পড়ুয়াকেও। সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছেন টালা থানার ওসি।

আরজি কর হাসপাতালে সিবিআই দল।

আরজি কর হাসপাতালে সিবিআই দল। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৪ ১৭:৫৪
Share: Save:

আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তাদের তলবে এ বার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হলেন হাসপাতালের পালমোনারি মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী এবং প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ। এ ছাড়া, হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের এক মহিলা অধ্যাপকও বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে সিজিওতে গিয়েছেন। সিবিআই দফতরে পৌঁছেছেন টালা থানার অফিসার ইন-চার্জ। তদন্তের কিছু নথি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দিতে গিয়েছেন তিনি।

আরজি কর হাসপাতালের বেশ কয়েক জন আধিকারিককে বৃহস্পতিবার তলব করেছিল সিবিআই। ডাকা হয়েছিল কয়েক জন চিকিৎসক-পড়ুয়াকেও। তলব অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁরা হাজির হয়েছেন। সূত্রের খবর, মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সম্বন্ধে তাঁরা কে কী জানেন, কী ভাবে ঘটনার খবর পেলেন, ঘটনার দিন কে কোথায় ছিলেন, সেই সংক্রান্ত বয়ান রেকর্ড করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সিবিআই দফতরে গিয়েছেন আরজি করের চার জন চিকিৎসক-পড়ুয়াও। তাঁদের বয়ানও রেকর্ড করা হচ্ছে।

ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক সিবিআই তলব প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমাকে ডাকা হয়েছিল। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। যা যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, জানিয়েছি।’’ তবে সিবিআই দফতরে তাঁকে কী জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে বলতে চাননি ওই অধ্যাপক।

আরজি করের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তার আগে তদন্ত করছিল পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের জন্য পুলিশকে রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। তত দিনে কিনারা না হলে তদন্তভার তিনি নিজেই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেবেন বলে জানান। কিন্তু আদালতের নির্দেশে তার আগেই তদন্তভার গিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে। তদন্তের শুরু থেকেই তৎপর সিবিআই। একাধিক আধিকারিককে তারা তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশ তাদের হাতে তদন্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিও তুলে দিয়েছে। ঘটনার পর আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। আন্দোলনের চাপে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। পরে তাঁকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে তিনি আপাতত ছুটিতে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, হাসপাতালে তিনি প্রভাবশালী। তাঁর সম্পর্কেও আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE