অধ্যক্ষকে ঘিরে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: সারমিন বেগম।
বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদ ছিল কেন? দুষ্কৃতীদের দেখে কেন পুলিশকে পালিয়ে যেতে হল? জানতে চান আন্দোলনকারী চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পড়ুয়ারা। জবাবদিহি চেয়ে তাঁরা অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে ঘেরাও করেন। তাঁকে এক ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা। ওই সময়ের মধ্যে গত রাতের ঘটনার জবাব চাওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের কাছ থেকে। আন্দোলনকারীদের দাবি, কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতে হবে অধ্যক্ষকে। নিরাপত্তায় গলদের কারণ জানাতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কী কী বন্দোবস্ত করছে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বুধবার রাতে আরজি কর চত্বরে মেয়েদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। অভিযোগ, জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক এবং পড়ুয়াদের দাবি, হামলার সময়ে পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। অনেকেই পালিয়ে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ আবার লুকিয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ কেন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হল, প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আরজি করে গিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। তাঁকে তাঁর দফতরে প্রবেশের আগেই আটকে দেওয়া হয়। অধ্যক্ষকে ঘিরে ধরেন আন্দোলনকারীরা। তাঁর কাছে নিরাপত্তায় গলদের কারণ জানতে চাওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সেই কারণ জানানোর জন্য এক ঘণ্টা সময় দেওয়া হয় অধ্যক্ষকে। আপাতত অ্যাকাডেমি ভবনের দরজার সামনেই তাঁরা অবস্থানে বসেছেন।
আন্দোলনকারীদের এক জন বলেন, ‘‘আমরা চাই, সিপির সঙ্গে অধ্যক্ষের বৈঠক হোক। কেন রাতে হাসপাতালের নিরাপত্তায় গলদ ছিল, আমরা জানতে চাই। সেটা আমাদের জানানো হোক। ক্যাম্পাসের মধ্যে আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। হাসপাতালের বাইরে যে হস্টেল আছে, সেখানেও নিরাপত্তা দিতে হবে। আমরা রাতে পুলিশকে দেখেছি নীরব দর্শক হিসাবে। হামলাকারীরা এসে দরজায় লাথি মারছিল। আমরা আটকে রেখেছিলাম। পুলিশ পালিয়ে যাচ্ছিল, লুকিয়ে পড়ছিল, যা অকল্পনীয়। এক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের জানাতে হবে, এই গলদ কেন হল? ডিসি নর্থকে কেন আমরা ফোনে পেলাম না? কলেজের প্রত্যেক পয়েন্টে কী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে, জানাতে হবে।’’
আন্দোলনকারীরা জানান, অধ্যক্ষের কাছ থেকে তাঁরা শুনেছেন, পুলিশ কমিশনার হাসপাতালে যাবেন। তখন তাঁর সঙ্গেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক চেয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সিপির কাছ থেকেই কৈফিয়ত চান তাঁরা। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, পুলিশ ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার দাবিও জানাবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy