Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
police

Police Harassment: টাকা ‘চেয়ে’ হেনস্থা দুই পড়ুয়াকে, ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্ক

ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, শুভ চিৎকার করে কান্নাকাটি করছেন। তাঁকে কলার ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। রাস্তায় পড়ে রয়েছে টাকা।

পুলিশ জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ।

পুলিশ জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২২ ০৬:৪৯
Share: Save:

দুই ছাত্রের তোলা একটি ভিডিয়ো ঘিরে (যার সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) প্রশ্নের মুখে নিউ টাউনের টেকনো সিটি থানার কয়েক জন পুলিশকর্মীর ভূমিকা। ওই থানা এলাকারই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন ওই দুই ছাত্র। সমাজমাধ্যমে তাঁরা ভিডিয়োটি আপলোড করে অভিযোগ করেছেন, সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই পুলিশ টাকা চেয়ে তাঁদের হেনস্থা করেছে। ঘটনার কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ইমেল মারফত জানিয়েছেন ওই ছাত্রেরা। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হেনস্থার শিকার হয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছিলেন এই টেকনো সিটি থানার বিরুদ্ধেই।

হাওড়ার বাসিন্দা গৌরব সাহা এবং বেলঘরিয়ার বাসিন্দা শুভ বসু নামে ওই দুই ছাত্রের অভিযোগ, গত সোমবার তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে পার্কিংয়ে রাখা একটি গাড়িতে বসে ছিলেন। সেই সময়ে সেখানে আসে টেকনো সিটি থানার একটি টহলদার গাড়ি। দুই ছাত্রের অভিযোগ, গাড়ি থেকে নেমে পুলিশকর্মীরা তাঁদের গাড়ি তল্লাশি শুরু করেন। গৌরব বলেন, ‘‘আচমকাই আমাদের গাড়ি পরীক্ষা করতে শুরু করেন ওঁরা। আমরা বললাম, ডিকি খুলে দিচ্ছি। যা দেখার দেখে নিন। তার পরে ওই পুলিশকর্মীরা গাড়ির নথি চাইলে সেগুলি দেখানোর সময়েই আমরা জানাই, দূষণ সংক্রান্ত শংসাপত্রের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। আমরা দূষণ পরীক্ষা করিয়ে নেব।’’

অভিযোগ, এর পরে গাড়িতে বসা এক সাব-ইনস্পেক্টর শুভ এবং গৌরবকে জানান, মেয়াদ-উত্তীর্ণ শংসাপত্র নিয়ে গাড়ি চালানোর অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। গৌরবের দাবি, ‘‘আমরা পুলিশকে অনুরোধ করি চালান না কাটার জন্য। এর পরেই এক পুলিশ আধিকারিক গাড়ি থেকে নেমে আমাদের কাছে টাকা দাবি করেন। শুভ জানায়, ওর ব্যাগে ৫০০ টাকা রয়েছে। কিন্তু ওঁরা ১০০০ টাকা চান। ওই অফিসার এ-ও বলেন, এত বড় কলেজে পড়ি, মা-বাবা বেশি টাকা দেন না, তা হতে পারে না।’’

ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, শুভ চিৎকার করে কান্নাকাটি করছেন। তাঁকে কলার ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। রাস্তায় পড়ে রয়েছে টাকা। ওই ছাত্র কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে বলছেন, ‘‘কলার ধরবেন না। আপনি কেন ৫০০ টাকা নিয়ে নিলেন? কোনও কথা শুনব না।’’ শুভকে চিৎকার করে আরও বলতে শোনা যায়, ‘‘আমার জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে।’’

গৌরব বলেন, ‘‘বন্ধু ৪০০ টাকা আর আমি ১০০ টাকা দিয়েছিলাম। সেটা নিয়ে যখন ওই পুলিশকর্মীরা চলে যাচ্ছেন, তখন আমি ওঁদের গাড়ির ছবি তুলতে যাই। এর পরেই ওঁরা ফিরে আসেন। আমার বন্ধুকে টেনে গাড়িতে তোলার চেষ্টা হয়। ওর মোবাইলও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়।’’

ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, শুভর কানে কানে কিছু বলার চেষ্টা করছেন এক সাব-ইনস্পেক্টর। অন্য এক সাব-ইনস্পেক্টর ভুল স্বীকার করছেন। আর জড়ো হওয়া লোকজন ওই দুই যুবককে বলছেন ভিডিয়োটি মুছে দেওয়ার জন্য।

গোটা ঘটনা নিয়ে কথা বলতে বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি (সদর) সূর্যপ্রকাশ যাদবের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভিডিয়োর লিঙ্কটি দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

police Aliah University Accused
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy