Advertisement
E-Paper

খুলছে জিম ও বিউটি পার্লার, বিধি মানা হবে তো?

১ জুলাই থেকে ৫০ শতাংশ কর্মী ও গ্রাহক নিয়ে সেলুন, জিম এবং বিউটি পার্লার খোলা যাবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সিআইটি রোডের একটি বিউটি পার্লারে চলছে জীবাণুনাশের কাজ। বুধবার।

সিআইটি রোডের একটি বিউটি পার্লারে চলছে জীবাণুনাশের কাজ। বুধবার। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২১ ০৬:৩৬
Share
Save

কোথাও প্রতিষেধক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ। কোথাও আবার নির্দিষ্ট ‘স্লট’ বুক করলে তবেই আসা যাবে। দু’মাস বন্ধ থাকার পরে আজ, বৃহস্পতিবার দরজা খোলার আগে সতর্কতামূলক এমনই বিভিন্ন নিয়ম চালু করেছে শহরের বিউটি পার্লার, সেলুন ও জিমগুলি। দূরত্ব-বিধি মানতে বেশ কিছু বিউটি পার্লারে অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে চেয়ারের সংখ্যা।

১ জুলাই থেকে ৫০ শতাংশ কর্মী ও গ্রাহক নিয়ে সেলুন, জিম এবং বিউটি পার্লার খোলা যাবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জিম খুলে রাখা যাবে সকালে ৬টা থেকে ১০টা ও বিকেলে ৪টে থেকে ৮টা পর্যন্ত। সেলুন বা বিউটি পার্লার খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সরকারি এই নির্দেশিকা মেনেই তাঁরা পরিষেবা চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন শহরের বিভিন্ন জিম, সেলুন ও বিউটি পার্লার কর্তৃপক্ষ। বুধবার তারই অঙ্গ হিসেবে একপ্রস্ত জীবাণুনাশের পর্ব সেরেছেন তাঁরা।

প্রতিষেধক নেওয়া থাকলে তবেই ঢোকা যাবে ভিতরে— এমনই নোটিস ঝুলিয়েছেন শহরের বেশ কয়েকটি মাল্টিজিম কর্তৃপক্ষ। এমনকি, প্রতিষেধকের সার্টিফিকেটও জমা দিতে হবে। এ ছাড়া, প্রত্যেককে বলা হচ্ছে, নির্দিষ্ট ‘স্লট’ বুক করে তবেই আসা যাবে। আগে প্রতি ঘণ্টায় যে ক’জন জিমে আসতেন, সেই সংখ্যাটি তিন ভাগের এক ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, ঘণ্টায় ঘণ্টায় জীবাণুনাশের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন জিম।

এ শহরে একাধিক মাল্টিজিমের কর্ণধার সায়ন দাস বললেন, ‘‘আমরা এক ঘণ্টা করে এক-একটি স্লট রাখছি। আপাতত প্রতিষেধক ছাড়া কাউকেই জিমে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না। এ ছাড়া, শারীরচর্চার প্রতিটি সরঞ্জাম এক জন ব্যবহার করার পরেই স্যানিটাইজ় করা হবে।’’

দক্ষিণ কলকাতার একটি শপিং মলের ভিতরে থাকা এক বিউটি পার্লারের ম্যানেজার সোনম পোদ্দার বললেন, ‘‘প্রতিষেধক নেওয়া না-থাকলে কাউকেই আসার অনুমতি দেওয়া হবে না। ভিড় এড়াতে প্রত্যেককে আলাদা সময় বলে দেব আমরা। পার্লারে আসা প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকছে। চেয়ারের সংখ্যাও অর্ধেক করেছি।’’

সরকারি বিধিনিষেধ সর্বত্র মানা হবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে লালবাজার সূত্রের খবর, বিভিন্ন পার্লার ও জিমের উপরে নজর থাকবে তাদের। যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিক বললেন, ‘‘নজরদারি চালাতে প্রতিটি ডিভিশনে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। বিধিনিষেধ না-মানলে জিম অথবা পার্লার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Corona COVID-19 West Bengal Lockdown

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}