কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।—ফাইল চিত্র।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত সোমবার শিশু বদলের অভিযোগ করেন ডানকুনির এক দম্পতি। কিন্তু সেই অভিযোগ নিয়ে সরকারি নথি বলছে, কন্যাসন্তানই প্রসব করেছেন ডানকুনির মনোহরপুরের বাসিন্দা রীতা দেবনাথ। কিন্তু তা কিছুতেই মানতে পারছেন না তিনি। পরিবারকে বারেবারে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, পুত্রসন্তানই প্রসব করেছেন তিনি।
শিশু বদলের অভিযোগ পেয়ে সোমবারই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার মেডিক্যালের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘সকাল ৫টায় শিশুটি জন্মায়। হাসপাতালের নথি অনুযায়ী, রবিবার রাত ২টো থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ভূমিষ্ঠ হওয়া সাতটি শিশুর সকলেই মেয়ে। তাই নথি অনুযায়ী অভিযোগের সত্যতা মিলছে না। পরিবারকে তা জানানো হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, রীতার কথায় অসঙ্গতি রয়েছে। তাই তাঁকে মনোরোগ বিভাগের চিকিৎসকের কাছে ‘রেফার’ করা হয়েছে।
গত রবিবার মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগে রীতাকে ভর্তি করানো হয়েছিল। সোমবার ভোরে তৃতীয় সন্তানের জন্ম দেন দুই মেয়ের মা, বছর তিরিশের রীতা। মঙ্গলবার তাঁর স্বামী রাজু দেবনাথ বলেন, ‘‘মেয়ে হয়েছে শুনে প্রথমে মন খারাপ হয়েছিল। পুত্রসন্তানের জন্য মানত করেছিলাম। কিন্তু এতে কারও হাত নেই। আমার স্ত্রী সে কথা বুঝছে না।’’ যদিও রীতার দাবি, তাঁর ছেলে হয়েছে। সেই পুত্রসন্তানকে স্তন্যপানও করিয়েছেন তিনি।
অন্য দিকে, রীতার পরিবারের বক্তব্য, তাঁদের সংশয় না থাকলেও মায়ের কথা ভেবেই সদ্যোজাতের ডিএনএ পরীক্ষা করানোর কথা ভাবছেন তাঁরা! রীতার ভাই চিরঞ্জিত বাগ বলেন, ‘‘দিদি সমানে বলছে ছেলে হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা না করালে ওর মধ্যের এই সংশয় দূর হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy