—প্রতীকী ছবি
এ বার বেলুড় থানার শরণাপন্ন হলেন হুগলির কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতের সিংহিবাগানের সেই কিশোরী ও তার পরিজনেরা।
লিলুয়ার সরকারি হোমে থাকাকালীন বছর সতেরোর ওই কিশোরীর ডান হাতে সেফটিপিন ফুটিয়ে নিজেদের নাম লিখে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সেখানকার তিন আবাসিকের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ওই কিশোরী বাড়ির লোকজন এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে বেলুড় থানায় গিয়ে তিন আবাসিকের বিরুদ্ধে অত্যাচার এবং হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ দায়ের করেন। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে আগেই হুগলির মহকুমাশাসক (সদর) সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে একই অভিযোগ জানানো হয়েছিল।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হবে।
ওই কিশোরী গত ১৬ ডিসেম্বর মাঝরাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। দিন কয়েক পরে বাড়ির লোকেরা জানতে পারেন, ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে হাওড়া স্টেশনে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে দেখে তাকে রেলপুলিশ উদ্ধার করে লিলুয়া হোমে পাঠিয়েছে। গত সোমবার সে হোম থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরে। তার পরেই ক্ষতস্থান দেখিয়ে হোমে তার উপরে নির্যাতনের অভিযোগ তোলে।
কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতের স্থানীয় সদস্য অজয় মাহান্তি বলেন, ‘‘হোম অসহায়ের নিরাপত্তার জায়গা। কিন্তু সেখানেই যদি এমন অত্যাচার চলে, তা হলে নিরাপত্তা বলে কিছুই থাকে না।’’
এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দ্বারস্থ হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ কয়েক জন। এ দিন ওই হোমেও যান লকেটরা। তিনি বলেন, ‘‘ওই হোমের সুপারের দাবি, ঘটনাটি জানেন না! ওঁকে বলেছি, তিন দিনের মধ্যে ঘটনাটা জেনে ব্যবস্থা নিন।’’ হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বেলুড় থানায় অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন নিগৃহীতা। সাংসদের অভিযোগ, রাজ্যের হোমগুলির ভয়ঙ্কর অবস্থা। প্রতিটা হোম নিয়ে তদন্ত হোক। রাজ্য না করলে কেন্দ্রে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy