কলকাতা পুরসভা ফাইল চিত্র
লাইসেন্স, সম্পত্তিকর পরিষেবার মতো বিনোদন বিভাগের ক্ষেত্রেও নাগরিকদের সুবিধায় সার্বিক অনলাইন পরিষেবা চালু করল কলকাতা পুরসভা। বিনোদনমূলক নতুন ব্যবসা বা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হলে এত দিন কলকাতা পুরসভায় এসে আবেদন করতে হত। চলতি মাস থেকেই এই পরিষেবা অনলাইনে চালু হয়েছে। শহরবাসীরা বাড়িতে বসেই পুরসভার ওয়েবসাইটে গিয়ে ফর্ম ভরে এই আবেদন করতে পারবেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতায় কোনও মিউজ়িক যুক্ত পানশালা, রেস্তরাঁ, হোটেল, প্রদর্শনী, ডান্সিং হল, সাইবার কাফে, পার্লার, ক্লাব ইত্যাদির ব্যবসা চালু করতে এত দিন পর্যন্ত কলকাতা পুরসভায় এসে আবেদন করতে হত। পুরসভার স্পেশ্যাল কমিশনার (রেভিনিউ) সোমনাথ দে বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ বার বাড়িতে বসেই পুরসভার ওয়েবসাইটে গিয়ে এর জন্য ফর্ম মিলবে। কষ্ট করে পুরসভায় আসতে হবে না।’’
পুরসভার বিনোদন বিভাগ সূত্রের খবর, কোনও পানশালা, প্রেক্ষাগৃহ, রেস্তোরাঁ, অনুষ্ঠান বাড়িতে অস্থায়ী অনুষ্ঠানের জন্যও পুরসভার বিনোদন বিভাগ থেকে অনুমোদনের আবেদন করতে হয়। সে ক্ষেত্রেও যেতে হত পুরসভার সদর দফতরে। সেই পরিষেবাও এ বার থেকে অনলাইনে পাওয়া যাবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, গত প্রায় দেড় বছর ধরে করোনা অতিমারির জন্য লাইসেন্স, পার্কিং, সম্পত্তিকর, বিজ্ঞাপনের মতো বিনোদন কর থেকেও আয় যথেষ্ট কমেছে। বিনোদন কর বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘অন্যান্য বছর যেখানে বিনোদন কর বাবদ প্রায় দু’কোটি টাকা আদায় হয়, গত বছরে সেখানে মাত্র দেড় লক্ষ টাকা আদায় হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরের শুরুতে বিনোদন কর আদায় ভাল হলেও এপ্রিল মাস থেকে শুরু হওয়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য আদায় কমেছে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত বিনোদন কর বাবদ প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা আদায় হয়েছে। আয় বাড়াতে অনলাইন
পরিষেবা চালু করার পাশাপাশি শহরের বার-রেস্তোরাঁ, পানশালা, বড় হোটেল থেকে শুরু করে বিনোদনমূলক ব্যবসা কেন্দ্রগুলি থেকে বকেয়া বিনোদন কর আদায় বাড়াতে চায় কলকাতা পুরসভা। বিভাগের এক আধিকারিক জানান, ঠিক মতো নজরদারির অভাবে বহু বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান পুরসভাকে কয়েক কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়ে চলছে। ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে নোটিস দিয়ে কর আদায় করতে চায় পুরসভা। সূত্রের খবর, বিনোদন কর আদায়ে নজরদারির অভাবের অন্যতম কারণ কর্মী সংখ্যার অপ্রতুলতা। এই বিভাগে রয়েছেন মাত্র ২০ জন। অথচ দরকার ৪০ জন কর্মী। এক বিভাগীয় আধিকারিকের কথায়, ‘‘কর্মী পর্যাপ্ত থাকলে নজরদারি বাড়ানো সম্ভব। কলকাতার মতো বিশাল শহরে যেখানে ১৪৪টি ওয়ার্ড রয়েছে, সেখানে মাত্র ২০ জন নিয়ে নজরদারি চালানো অসম্ভব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy