প্রচার: গ্যালিফ স্ট্রিটে বন দফতরের কিয়স্ক। নিজস্ব চিত্র
মধ্যবিত্ত বাড়ির বারান্দা। তাতে ছোট্ট খাঁচায় পুরে রাখা হয়েছে একটি টিয়াপাখিকে। উত্তর কলকাতার গলি দিয়ে যেতে যেতে দৃশ্যটি দেখে চমকে উঠেছিলেন এক বনকর্তা। তিনি বলছেন, সে দিন বুঝেছিলাম, শুধু পাখি-কারবারিদের পাকড়াও করলেই হবে না। তথাকথিত শিক্ষিত মানুষদেরও ‘সবক’ শেখানো উচিত।
বন দফতরের খবর, বেআইনি পাখি-কারবারিদের ধরপাকড়ের পাশাপাশি এ বার ক্রেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে। রাজ্য বন্যপ্রাণ শাখা সূত্রের খবর, মূলত উত্তর কলকাতার গ্যালিফ স্ট্রিটকে কেন্দ্র করে ওই ধরনের বেআইনি পাখি ব্যবসা চলে। তাই গ্যালিফ স্ট্রিটে পশু-পাখির বাজারে কিয়স্ক খুলেছে তারা। রবিবার থেকেই সেই কিয়স্ক চালু হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণ শাখার সহকারী ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীরা।
বন দফতরের কর্তারা জানান, টিয়া, চন্দনা, মুনিয়া, ময়নার মতো পাখিই বেশি বিক্রি হয়। সাধারণত, পায়রা বাদ দিয়ে যে কোনও দেশি পাখি কেনাবেচা ও পোষা নিষিদ্ধ। সে ক্ষেত্রে পাখি বিক্রেতার যেমন হাজতবাস হতে পারে, তেমনই কারও বাড়িতে পাখি থাকলে বা কিনলেও হাজতবাস হতে পারে। পশুপাখির হাটে আসা মানুষজনকে সে কথাই বোঝানো হচ্ছে। এক বনকর্তার কথায়, ‘‘ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিলে বেআইনি পাখি ব্যবসাও বন্ধ হবে।’’
বন দফতরের একটি সূত্র বলছে, গ্যালিফ স্ট্রিটে লুকিয়ে-চুরিয়ে এ ধরনের পাখি ব্যবসা হয়। প্রায়ই ধরপাকড় হয়। এ বার হাটের কিয়স্কে বন দফতরের কর্মীরা সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত থাকবেন। তার ফলে নজরদারি আরও বাড়বে। কিয়স্ক খোলায় বেআইনি কারবারিদেরও উপরেও চাপ তৈরি হবে। মানুষজনও দেশি পাখি কিনে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না।
বন্যপ্রাণ আইনের কড়াকড়ি কিংবা ধরপাকড় সত্ত্বেও দেশি পাখির ব্যবসা যে চলছে, তার প্রমাণ অবশ্য শনিবারও মিলেছে। শনিবার সকালে বর্ধমানে পটনা থেকে কলকাতামুখী একটি বাস থেকে ১১টি খাঁচাভর্তি মোট ৫২৪টি বিভিন্ন প্রজাতির টিয়া উদ্ধার উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় বন্যপ্রাণ অপরাধদমন ব্যুরো। পাকড়াও করা হয়েছে শেখ আখতার ও বৈশাখ মহম্মদ নামে দু’জনকে। সূত্রের দাবি, পাখিগুলি মূলত কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় বিক্রির জন্যই আনা হচ্ছিল। পাখিগুলিকে বর্ধমানে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy