প্রতীকী ছবি।
চার দিনের মধ্যে পর পর তিন দিনই ঘন কুয়াশার জেরে নির্দিষ্ট একটি উড়ান কলকাতায় নামতে না পেরে মুখ ঘুরিয়ে উড়ে গেল অন্য শহরে। এটি বেসরকারি উড়ান সংস্থা স্পাইসজেটের পণ্যবাহী বিমান। তিন দিনই ভোরবেলা পণ্য নিয়ে সেটির হংকং থেকে কলকাতায় নামার কথা ছিল। আরও এক দিন দিল্লি থেকে আসা একটি বিমানও কলকাতায় নামতে পারেনি।
গত মঙ্গলবার থেকে আচমকাই কলকাতায় কুয়াশার প্রকোপ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার স্পাইসজেটের দিল্লি থেকে আসা একটি পণ্যবাহী বিমান নামতে না পেরে মুখ ঘুরিয়ে অন্য শহরে উড়ে যায়। তার পরে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্র এই তিন দিনই শহরের উপরে এসেও অন্যত্র উড়ে যেতে বাধ্য হয় ওই একই সংস্থার হংকং থেকে আসা পণ্যবাহী বিমান। হংকং থেকে আসা প্রথম বিমানটি গিয়ে নামে ভুবনেশ্বরে। তার পরের দু’দিন যথাক্রমে হায়দরাবাদ এবং বিশাখাপত্তনমে উড়ে যায়।
প্রশ্ন উঠেছে, আগে থেকে যখন জানা যাচ্ছে যে কলকাতার আকাশ পরিষ্কার নয়, তখন কেন হংকং থেকে রওনা হচ্ছে বিমান? কলকাতার কুয়াশার কথা অন্য প্রতিটি শহরকে আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং সেখান থেকে উড়ান দেরিতে ছাড়ছে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, হংকং-এর মতো বিদেশি শহরে পার্কিং বে আটকে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য যে অর্থমূল্য দিতে হয়, তা তুলনায় অনেক বেশি। তার চেয়ে ভারতে উড়ে এসে অন্য শহরে যাওয়াটা আর্থিক ভাবে অনেক বেশি লাভজনক উড়ান সংস্থার পক্ষে।
উড়ান সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে, হংকং থেকে কলকাতায় আসতে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা লাগে। ফলে, সেখান থেকে বিমান ছাড়ার পরে অনেক সময়ে কলকাতার আবহাওয়ার কথা জানা যাচ্ছে। তত ক্ষণে বিমান অনেকটা পথ পেরিয়ে চলে এসেছে। সাধারণত পণ্য হিসেবে ফুল, ফল, সামুদ্রিক মাছ আসে ওই উড়ানে। যদিও উড়ান সংস্থা সূত্রের খবর, ইদানীং শুধু বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতিই আসছে ওই উড়ানে। ফুল, ফল বা মাছের মতো জিনিস সহজেই পচনশীল। সে সব নিয়ে বিমান অন্য শহরে উড়ে গেলে সেগুলি পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কারণ অন্য শহরে উড়ে যাওয়ার পরে সেই বিমানকে কলকাতার আকাশ পরিষ্কার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এতে অনেকটা সময় অপচয় হয়ে যায়। কিন্তু বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে সেই সমস্যা থাকে না।
গত তিন দিনই কলকাতায় নামতে না পেরে অন্যত্র উড়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরে আবার কলকাতায় ফেরে ওই পণ্যবাহী বিমান। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে এগারোটা থেকে কলকাতার আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে। শুক্রবার ভোর চারটে নাগাদ দৃশ্যমানতা কমে ১০০ মিটার হয়ে যায়। তার পরেই স্পাইসজেটের হংকং থেকে আসা বিমানটি নামতে না পেরে বিশাখাপত্তনমে উড়ে যায়। দিনের মধ্যে সেটিই একমাত্র উড়ান যেটি কলকাতায় নামতে না পেরে অন্যত্র উড়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy