ঘন কুয়াশায় মোড়া কলকাতা। ছবি এএফপি।
ঘন কুয়াশার জেরে মঙ্গলবার ভোরে কলকাতা থেকে বিঘ্নিত হল উড়ান চলাচল। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কুয়াশার কারণে এ দিন কলকাতা থেকে প্রায় ২৭টি উড়ান দেরিতে ছাড়ে। বহু যাত্রী আটকে পড়েন বিমানবন্দরে। রানওয়ের দৃশ্যমানতা এক সময়ে কমে ৫০ মিটারে নেমে যায়।
এ দিন কুয়াশার সমস্যা শুরু হয় ভোর থেকেই। ভোর সাড়ে ৪টে থেকে দৃশ্যমানতা কমতে শুরু করে। কলকাতার প্রধান রানওয়েতে যন্ত্রের সাহায্যে বিমান নামানোর জন্য ‘ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম’ (আইএলএস) ক্যাট থ্রি-বি রয়েছে। যার সাহায্যে ৫০ মিটার দৃশ্যমানতাতেও নেমে আসতে পারে বিমান। কিন্তু, সেই সুবিধা পেতে গেলে পাইলটদের সেই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ এবং বিমানে সেই যন্ত্র থাকাটা বাধ্যতামূলক। অনেক সময়েই যা থাকে না।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন ভোরে দৃশ্যমানতা কমতে কমতে সকাল ৬টার সময়ে ৫০ মিটারে নেমে আসে। পৌনে ৭টা নাগাদ একেবারে বন্ধ হয়ে যায় বিমান ওঠানামা। তখনই দিল্লি থেকে একটি পণ্য বিমান কলকাতায় নামতে এসে মুখ ঘুরিয়ে বিশাখাপত্তনম উড়ে যায়। কলকাতার এই কুয়াশার কথা জানিয়ে দেওয়া হয় অন্য বিমানবন্দরে। প্রায় পাঁচটি উড়ান বিভিন্ন গন্তব্য থেকে দেরিতে এসে পৌঁছয়।
কলকাতা বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানিয়েছে, কম দৃশ্যমানতায় আইএলএস-এর সুবিধা নিয়ে সাড়ে ৬টা নাগাদ দিল্লি থেকে একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার পণ্য বিমান কলকাতায় এসে নামে। একই ভাবে ওই সংস্থার আরও একটি পণ্য বিমান সাড়ে ৭টা নাগাদ মুম্বই থেকে এসে পৌঁছয়।
সকাল ৮টার পর থেকে আস্তে আস্তে পরিষ্কার হতে শুরু করে আকাশ। কলকাতায় যাত্রীদের নিয়ে প্রথম এসে নামে একটি বেসরকারি সংস্থার বিমান। সেটি বেঙ্গালুরু থেকে আসে। আর সওয়া ৮টা নাগাদ কলকাতা থেকে অন্য একটি সংস্থার প্রথম যাত্রী উড়ান ছাড়ে বাগডোগরার উদ্দেশে। কৌশিকবাবু জানিয়েছেন, সাড়ে ৯টার পর থেকে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় উড়ান চলাচল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy