—ফাইল চিত্র।
কুয়াশায় আবারও বিপর্যস্ত বিমান চলাচল। এ নিয়ে পর পর তিন দিন। বৃহস্পতিবার ঘন কুয়াশা থাকায় কলকাতা থেকে ৩৬টি উড়ান দেরিতে ছেড়েছে। এ শহরে নামতে না পেরে মুখ ঘুরিয়ে অন্য শহরে উড়ে যেতে হয়েছে দু’টি উড়ানকে। তার মধ্যে একটি যাত্রী ও অন্যটি পণ্যবাহী। শহরমুখী প্রায় ১৪টি উড়ানও দেরিতে নেমেছে। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কুয়াশা পুরোপুরি কাটতে এ দিন বেলা ১১টা বেজে গিয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, ‘‘আবহাওয়া দফতর আমাদের জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপরে বাতাসের বিশেষ ধরনের প্রবাহের কারণেই অতিরিক্ত বাষ্প ঢুকে আসছে এবং তার জন্য এমন পর পর কুয়াশা তৈরি হচ্ছে। কুয়াশার প্রকোপ কবে কমবে, তা আগে থেকে বুঝতে পারছেন না উড়ান সংস্থার কর্তারা। অনেক ক্ষেত্রেই যাত্রীদের উড়ান দেরির কথা জানানো হচ্ছে। তবে, কেউই ঝুঁকি নিতে রাজি নন বলে বিমানবন্দরে আগেই পৌঁছে যাচ্ছেন।’’ এতগুলি উড়ান ছাড়তে দেরি হয়ে যাওয়ায় এ দিন সকাল ৯টার পরে বহু যাত্রীর সমাগম হয় বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার শেষ রাত পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই চলছিল। রাত ৩টে নাগাদ দিল্লি থেকে একটি বেসরকারি সংস্থার পণ্যবাহী বিমান শহরে নামে। তার পরে পণ্য নিয়ে সেটি সাড়ে ৩টের সময়ে হংকং উড়ে যায়। তার পর থেকেই আস্তে আস্তে খারাপ হতে শুরু করে আবহাওয়া। ভোর ৫টা থেকেই দৃশ্যমানতা কমে ৫০ মিটার হয়ে যায়। পণ্যবাহী ওই উড়ান হংকং থেকে ফিরতি পথে ভোর ৫টা নাগাদ কলকাতায় নামতে না পেরে চলে যায় হায়দরাবাদ।
তবে এর মধ্যেই সকাল ৮টা নাগাদ একটি বেসরকারি কুরিয়র সংস্থার বিমান দিল্লি থেকে এসে নেমে পড়ে কলকাতায়। ৮টা ৫০ মিনিটে বাগডোগরা থেকে আসা একটি বেসরকারি যাত্রিবাহী উড়ান কলকাতায় নামতে না পেরে ভুবনেশ্বর উড়ে যায়। সকাল ৯টা পর্যন্ত দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের কাছাকাছি ছিল বলে জানা যায়।
তার পরে আকাশ একটু পরিষ্কার হওয়ায় সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে দিল্লি থেকে একটি বেসরকারি সংস্থার উড়ান এসে নামে। আর তার তিন মিনিট পরে কলকাতা থেকে ছেড়ে যায় ওই সংস্থারই বেঙ্গালুরুর উড়ান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy