মাধ্যমিকের পর আরও পড়াশোনা করতে চেয়েছিল আঠারো বছরের সুতপা (নাম পরিবর্তিত)। কিন্তু বাবা-মা চেয়েছিলেন মেয়ের বিয়ে দিতে। তার দাবি, শেষপর্যন্ত তাঁরা বিয়ের জন্য জোরাজুরি শুরু করেন। রবিবার ওয়াটগঞ্জে তাকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখে পুলিশে খবর দেন এলাকার মানুষ। পুলিশের কাছে সুতপা জানিয়েছে, বিয়ে এড়াতে কাঁথির বাড়ি থেকে পালিয়ে কলকাতায় পালিয়ে এসেছে সুতপা। আর বাড়ি ফিরতে চায় না সে। শেষপর্যন্ত পুলিশ তাঁকে একটি হোমে রাখার ব্যবস্থা করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মেয়েটিকে জেরা করে জানা গিয়েছে, চার বোনের মধ্যে সেজ সে। মাসখানেক ধরেই তার অভিভাবকরা উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন বলে জানিয়েছে সে। পুলিশকে সে জানিয়েছে, তাঁরা রাজি না হওয়ায় রবিবার সকালে ১৫০টাকা নিয়ে কাঁথি থেকে ভোরে বেরিয়ে পড়ে সুতপা। পুলিশকে সে জানিয়েছে, বাস ধরে কলকাতার ধর্মতলায় এসে হাজির হয় সে। দুপুরে ধর্মতলায় নেমে সাতপাঁচ না ভেবে আর একটি বাসে উঠে পড়ে। নামে খিদিরপুরের ফ্যান্সি মার্কেটের সামনে। সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর হতভম্ব হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে সে। পরে তাকে থানায় নিয়ে আসে এলাকার কয়েকজন।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটিকে জেরা করেছে জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি মেদিনীপুরের কাঁথির উত্তর সোফিয়াবাদে। তবে বাড়ির ঠিকানা বা ফোন নম্বর বলতে চায়নি সে। ওয়াটগঞ্জ থানার তরফে কাঁথি থানায় যোগাযোগ করে বিষয়টি জানিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে তাকে আপাতত পার্ক স্ট্রিটের একটি হোমে রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy