ফিরছে ছবি: করোনা সংক্রমিতদের জন্য তৈরি সেফ হোম। মঙ্গলবার, আলিপুরের ‘উত্তীর্ণ’য়। নিজস্ব চিত্র
করোনার সংক্রমণ রুখতে শহরে একাধিক সেফ হোম চালু করার কথা সোমবার ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের বিদায়ী পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ওই সমস্ত সেফ হোম দ্রুত চালু করার পাশাপাশি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্যানিটাইজ়েশনের কাজও শুরু হচ্ছে। সেই সঙ্গে করোনা প্রতিরোধে আরও একাধিক পদক্ষেপ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। এ নিয়ে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবার পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন ফিরহাদ। পুরভবনে ওই বৈঠকে পুর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা ছাড়াও পুর কমিশনার বিনোদ কুমার-সহ একাধিক দফতরের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‘শহরে ছ’টি সেফ হোম ও দু’টি কোয়রান্টিন কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। সব ক’টি সেফ হোমের কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হবে আলিপুরের উত্তীর্ণ সভাঘরে। সেখানে সব সময়ে দশটি করে অ্যাম্বুল্যান্স রাখা থাকবে। সেখানকার একটি ফোন নম্বর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দ্রুত জানানো হবে।’’ এর পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুমের নম্বরে (০৩৩-২২৮৬১২১২ /২২৮৬১৩১৩ /২২৮৬১৪১৪) ফোন করলে করোনা রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাড়ি থেকে সেফ হোমে নিয়ে আসা হবে বলেও জানান ফিরহাদ।
শহরের যে সমস্ত জায়গায় ওই সেফ হোমগুলি তৈরি হয়েছে, সেগুলি হল: কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে, ইএম বাইপাসের কাছে আনন্দপুরে, উত্তর কলকাতার একটি হস্টেলে, হাওড়ার বালিটিকুরিতে ও রাজারহাটে। এ দিন বৈঠক শেষে ফিরহাদ বলেন, ‘‘সব ক’টি সেফ হোম মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার শয্যা থাকবে। কলকাতা পুর এলাকার জন্য আরও তিনশোটি স্যানিটাইজ়ার মেশিন কেনা হবে শীঘ্রই। এখন ওই ধরনের ২৭টি মেশিনের সাহায্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে স্যানিটাইজ়েশনের কাজ আজ, বুধবার থেকেই শুরু হচ্ছে।’’
কোভিডে আক্রান্ত কোনও রোগী মারা গেলে তাঁকে দাহ বা কবরস্থ করার কাজ দ্রুততার সঙ্গে করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিদায়ী মন্ত্রী ফিরহাদ। তাঁর কড়া নির্দেশ, ‘‘কোভিডে আক্রান্ত কোনও রোগীর সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠলে তা বরদাস্ত করা হবে না। পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমস্ত কর্মীকে খুব মন দিয়ে কাজ করতে হবে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রসারে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে অটোয় চড়ে নিয়মিত প্রচার চালানো হবে। মাস্ক না পরে যাতে বাড়ি থেকে কেউ না বেরোন, সেটাই বার বার করে বলা হবে। এ ছাড়া, প্রতিটি ওয়ার্ডে টেলি-মেডিসিন চিকিৎসাও চালু হবে শীঘ্রই। কোন ওয়ার্ডে কোন চিকিৎসককে টেলি-মেডিসিনে পাওয়া যাবে, তা বিজ্ঞাপনে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে এ দিন ফিরহাদ জানিয়েছেন।
এ দিন বৈঠক শেষে জলসঙ্কট প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘এখন কোনও ওয়ার্ডে কোঅর্ডিনেটর নেই। নির্বাচন কমিশন আমাদের সকলকে সরিয়ে দিয়েছে। তাই এই গরমে জলকষ্ট দেখা দেবে। এই হয়রানির জন্য নির্বাচন কমিশনই দায়ী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy