রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ ফিরহাদের।—ফাইল চিত্র।
গড়িয়ায় শ্মশান-কাণ্ডে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় একের পর এক টুইট করেছেন। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের কাছে বিষয়টির ব্যাখ্যাও চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তারই পাল্টা শনিবার তোপ দাগলেন ফিরহাদ। জানালেন, রাজভবন আসলে বিজেপির অফিসে পরিণত হয়েছে।
এ দিন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ বলেন, “রাজ্যপাল নিরপেক্ষ ভাবে যদি ডেকে পাঠাতেন, যেতাম। কিন্তু তিনি ডাকার আগেই টুইটে এবং সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলের মতো আচরণ করছেন। ওটা বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। বিজেপি অফিসে আমি যাব না। বিরোধী দলের মতো আচরণ রাজ্যপালের।”
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে যে ভাবে আঁকশি দিয়ে মৃতদেহ টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা অসংবেদনশীল এবং অমানবিক বলে উল্লেখ করেছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন ধনখড় টুইটারে লিখেছিলেন, ‘‘মর্মাহত! ভিডিয়োতে মৃতদেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার হৃদয়বিদারক নির্মম দৃশ্য দেখে জনমনসে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, তাতে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন বোধ করছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাজে আমি স্তম্ভিত। কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান (প্রশাসক) এবং পুরসভা কমিশনারের কাছে আজ এ নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছি।’’
আরও পড়ুন: নিছকই বিচ্ছিন্ন ঘটনা, বোড়াল শ্মশানের ভিডিয়ো প্রসঙ্গে মন্তব্য রাজ্যের
এরও জবাব এ দিন দিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন টেনে আনছেন। আপনি রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তা। কিছু জানতে হলে আমাকে বুলুন। বিরোধী দলের মতো আচরণ করে চলেছেন কেন? দীলিপবাবুর ভাষায় কথা বলছেন। কী হয়েছে আমার জানা নেই। বিরোধী দল, বিজেপি যে ভাষায় কথা বলছেন, তারই প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে।” বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই সুযোগে বিরোধী ভাইয়েরা উসকে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমার অফিসার নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছেন। এই ঘটনাকে সমর্থন করছি না। যথাযত ব্যবস্থা আমরা নেব।”
আরও পড়ুন: মহুয়াকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূলের নিশানায় ‘ললিপপ’ ধনখড়
এ দিন রাজভবনে গিয়েছিলেন কলকাতার পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। তিনি এ ঘটনা সম্পর্কে তথ্যও দিয়েছেন রাজ্যপালকে। পাশাপাশি শ্মশানের ভিডিয়ো প্রসঙ্গকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেও এ দিন মন্তব্য করেছে রাজ্য সরকার। ওই ভিডিয়ো-বিতর্ককে কোভিড অতিমারির সঙ্গে জুড়ে দেওয়াটাও যে অপ্রাসঙ্গিক, তা রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর টুইট-এ স্পষ্ট করেছে। মৃতদেহগুলো সৎকারের দায়িত্ব পাওয়া সংস্থাকেই বোড়ালের ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করেছে রাজ্য সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy