প্রতীকী ছবি।
অফিসের এক ঘর থেকে অন্য ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছিল সে। প্রায় এক ইঞ্চি লম্বা! নির্ঘাত বিপজ্জনক। তা ভেবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন দমকলকর্মীরা।
বেশ কিছু ক্ষণ পরে ক্লান্ত হয়ে অফিসের সামনের নিকাশি নালার পাশের বাতিস্তম্ভে গিয়ে সবে জিরোচ্ছিল সে। তখনই তাকে ধরে খপ করে পলিথিনে ঢুকিয়ে ফেলেন কর্মীরা। বড় আকারের মশাটিকে ‘বন্দি’ করে তাঁরা খবর পাঠালেন পুরসভায়। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা আসতেই জানা গেল সেটি আদতে ‘বন্ধু’ মশা।
শনিবার সকালে বালি দমকলকেন্দ্রের এই ঘটনায় প্রথমে আতঙ্ক, পরে খানিকটা মজাই ছড়িয়ে পড়ল কর্মীদের মাঝে। কর্মীরা জানান, মশাটি কিছু ক্ষণ ওড়ার পরে নিকাশির পাশের বাতিস্তম্ভে বসে। তখনই তাকে টেস্ট টিউবে ভরে খবর পাঠান হাওড়া পুরসভায়। এলাকায় বিপজ্জনক মশা বেড়েছে ভেবে আতঙ্কিত হন স্থানীয়েরাও।
খবর পেয়ে হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর থেকে ভেক্টর কন্ট্রোল আধিকারিক এবং কর্মীরা গিয়ে হাজির হন বালির ওই অফিসে। মশাটিকে পরীক্ষা করে তাঁরা জানান, ‘টক্সোরাইনসাইট্স সপ্লেনডেন্স’ প্রজাতির ওই মশাকে সকলে চেনে বন্ধু মশা হিসেবে। সেটি ক্ষতিকারক মোটেই নয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাক্তন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এডিস মশার লার্ভা খেয়ে এই প্রজাতির মশা ডেঙ্গি মোকাবিলায় সহায়ক হয়। এতে কোনও ভয় নেই।’’ ‘ক্লিনচিট’ মেলার পরে অবশ্য ছাড়া পেয়েছে সেই ‘বন্ধু’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy