ফাইল চিত্র।
সন্ধ্যা থেকেই হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছিল বাজির ফুটফাট আওয়াজ। রাত ৮টার পরে ক্রমশ তা বাড়তে শুরু করল। আগের বছরের মতো নাগাড়ে না ফাটলেও শনিবার, কালীপুজোর রাতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি কানে তালা ধরিয়ে দিয়েছে মানুষের।
হাইকোর্টের নির্দেশ ও রাজ্য সরকারের সমস্ত রকম বিধি-নিষেধ সত্ত্বেও হাওড়া জুড়ে যে ভাবে বাজি ফাটল, তাতে পুলিশ যে ব্যর্থ, তা পরিষ্কার। যদিও হাওড়া সিটি পুলিশের দাবি, সেখানে বাজি খুব বেশি ফাটেনি। কয়েকটি জায়গা থেকে বাজি ফাটানোর অভিযোগ এলেও পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে।
হাওড়ায় যে বাজি ফাটবে, তা বোঝা যাচ্ছিল বিভিন্ন জায়গা থেকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রির অভিযোগ আসায়। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছিল, কোনও ভাবেই যাতে কেউ বাজি বিক্রি করতে না পারেন, তার জন্য নিয়মিত তল্লাশি অভিযান চলছে। উদ্ধারও হয়েছিল প্রচুর বাজি। আদালতের নির্দেশের পরে এ দিন বাজি বন্ধ রাখাটা চ্যালেঞ্জ ছিল পুলিশের কাছে। কিন্তু কালীপুজোর রাতে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে চ্যাটার্জিহাট, ডুমুরজলা, কদমতলা, বাঁকড়া, লিলুয়া, সালকিয়া ও বেলুড়ে যে ভাবে বাজি ফেটেছে, তাতে বোঝা যায়, হাওড়ায় অবাধেই বাজি বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা-মুক্তির প্রার্থনায় দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে বিশেষ পুজো
এ দিন সন্ধ্যায় প্রথমে হাউই দিয়ে বাজি ফাটানো শুরু হয়। আকাশে ওড়ার পরে কান ফাটানো শব্দে ফেটেছে সেগুলি। আদালতের বারণ সত্ত্বেও এই কোভিড পরিস্থিতিতে বাজি ফাটায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষও। লিলুয়ার বাসিন্দা স্বপন দেবনাথ বললেন, ‘‘আমাদের সি রোডে প্রচুর বাজি ফেটেছে। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমন পরিস্থিতিতেও কী ভাবে কিছু লোক বাজি ফাটাচ্ছেন, ভেবে অবাক হচ্ছি।’’
মানুষের সচেতনতার অভাব যে কতটা, তা বোঝা গিয়েছে চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকার ডুমুরজলার তাঁতিপাড়ায়। এ দিন সেখানে শব্দবাজি ক্রমাগত ফাটতে থাকায় পুলিশের কাছে প্রচুর অভিযোগ যায়। পুলিশ গিয়ে টহলও দেয়। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পরেই ফের বাজি ফাটাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
হাওড়ার এক পদস্থ পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ পেলেই পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে। রাস্তায় প্রচুর পুলিশকর্মী ছিলেন। ফলে খুব বেশি বাজি ফাটেনি। কয়েকটি জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছিল। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy