প্রতীকী ছবি।
আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল জুতোর আঠা তৈরির একটি কারখানা। সোমবার দুপুরে, আনন্দপুর থানা এলাকার পশ্চিম চৌবাগার ঘিঞ্জি গুলশন কলোনিতে ওই আগুন লাগে। পুলিশ ও দমকল জানায়, বন্ধ থাকা ওই কারখানার আগুনে কেউ হতাহত না হলেও, আগুনের লেলিহান শিখা কারখানার পাশের একটি বহুতলের দু’টি ফ্ল্যাটে ঢুকে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। তবে আগুন পুরোপুরি ঢোকার আগেই ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বেলা দেড়টা নাগাদ শ’চারেক বর্গফুটের ওই কারখানায় আগুন লাগে। টালির চালের এক তলা ওই কারখানার ভিতরে প্রচুর রাসায়নিক আঠা ভর্তি টিন ছিল। ছিল রাবারও। ওই কারাখানার উল্টোদিকের একটি বহুতলের বাসিন্দা মহম্মদ রফিক জানান, তিনি স্নান করতে গিয়েছিলেন। বোমা ফাটার মতো আওয়াজ শুনে শৌচাগার থেকে বেরিয়ে এসে তিনি দেখেন, আগুনের শিখা পাঁচতলার মতো উঁচুতে উঠে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আঠার টিন পরের পর বোমার মতো ফাটছিল। বাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে গিয়ে দেখি কারখানার পাশের পাঁচতলা বাড়ির দোতলায় আগুন ঢুকে গিয়েছে।’’ প্রত্যক্ষদর্শী মহম্মদ হানিফ জানান, কালো ধোঁয়ায় এলাকা ঢেকে যায়। আগুনের তাপ এত বেশি ছিল যে, অনেক বাসিন্দার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়।
দমকলের কর্মীরা জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রগতি ময়দান ও পাটুলি কেন্দ্র থেকে পাঁচটি ইঞ্জিন মিনিট কুড়ির মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু কারখানাটি সরু রাস্তার ভিতরে হওয়ায় এক সঙ্গে সব ক’টি ইঞ্জিনকে কাজে লাগানো যায়নি। দমকলের গাড়ি ঘোরাতেও বেশ বেগ পেতে হয়।
প্রগতি ময়দান ও পাটুলি কেন্দ্রের ওসি তপনকুমার দত্ত বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ওই কারখানা চালানোর কোনও লাইসেন্স আমরা দিইনি। কী কারণে আগুন লাগল তা ফরেন্সিক পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়। ওই পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা হবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, আঠা তৈরির ওই কারখানা চালানোর জন্য পুরসভা ও দমকল অনুমোদন দিয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। কারখানার মালিক কে, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy