নাগেরবাজারের কারখানায় অগ্নিকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত।
নাগেরবাজার এলাকায় গেঞ্জি কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে সকাল ১০টার পরে। জানিয়েছে দমকল। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে, জানিয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। ওই কারখানার মধ্যে একটি টিনের শেড ভেঙে পড়েছিল। শেড সরাতে জেসিবিও আনা হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে নাগেরবাজার সংলগ্ন এলাকায় যশোর রোডের গেঞ্জি কারখানায় আচমকা আগুন লেগে যায়। সেখানে একাধিক গোডাউনও ছিল বলে জানতে পেরেছে দমকল। খবর পেয়ে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। ভোর ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে। সকালে ঘটনাস্থলে যান সুজিত। তিনি বলেন, ‘‘এটি একটি গেঞ্জির কারখানা বলে জানতে পেরেছি। আর কিছু গোডাউনও ছিল। তদন্ত না হলে এখনই আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়। কয়েকটি পকেটে আগুন এখনও আছে। যেখানে দমকল কাজ করছিল, সেখানে একটি টিনের শেড ভেঙে পড়েছে। আমরা জেসিবি নিয়ে আসছি। তা নিয়ে ওই শেড সরিয়ে কাজ এগোতে হবে। কী কারণে আগুন, তা-ও এখনই বলা সম্ভব নয়। গত কয়েক মাসে কলকাতায় যে সমস্ত অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, আমরা প্রতিটির ক্ষেত্রেই তদন্ত করেছি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিছু কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমার বক্তব্য, ব্যবসা করুন, কিন্তু নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে হবে। এখানে আগুন নেভানোর তেমন কোনও ব্যবস্থা ছিল বলে এখনও দেখতে পাইনি। তদন্ত হবে। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। রাতে নাগেরবাজারের কারখানায় যখন আগুন লাগে, তখনও বৃষ্টি চলছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে বৃষ্টির কারণে দমকল বাধা পেয়েছে। বিপুল পরিমাণ ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে গিয়েছিল। দমকলের সঙ্গে স্থানীয়েরাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। রাতে কারখানায় কাজ বন্ধ ছিল। ফলে ভিতরে কেউ ছিলেন না। সকালে কর্মীরা পৌঁছে আগুনের ঘটনা জানতে পারেন। অনেকেরই আশঙ্কা, এর পর কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে কর্মসংস্থান হারাবেন তাঁরা। আগুনে কারখানার বড় অংশ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বিপুল বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy