ভস্মীভূত: আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। বুধবার, বেলঘরিয়ার কারখানায়। নিজস্ব চিত্র
কয়েক মাস আগে বিলকান্দার চেয়ার কারখানায় আগুনের স্মৃতি এখনও টাটকা। ঘটনায় পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুর পরে গ্রেফতার হয়েছিলেন কারখানার মালিক। বুধবার ভোরে বেলঘরিয়ায় সেই ব্যক্তিরই আর একটি চেয়ার তৈরির কারখানা ও গুদাম ছাই হয়ে গেল আগুনে। তবে এ বার কারখানাটি বন্ধ থাকায় কেউ হতাহত হননি।
কামারহাটি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নীলগঞ্জ রোডে একটি সেরামিক কারখানা চত্বরের ভিতরে বেশ কয়েকটি গুদাম ও ছোট কারখানা রয়েছে। মূল গেট দিয়ে ঢুকে বাঁ দিকে রয়েছে ওই চেয়ার তৈরির কারখানা ও গুদাম। সেখানে প্লাস্টিক ও প্লাইউডের চেয়ার-সহ বিভিন্ন আসবাব তৈরি হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ওই বন্ধ কারখানা এবং গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন নিরাপত্তারক্ষীরা। অন্য কারখানার লোকজনও বেরিয়ে আসেন।
তাঁরাই বেলঘরিয়া থানা ও দমকলে খবর দেন।
খবর পেয়ে দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন আসে। কারখানার দরজা ভেঙে ঢুকে দমকলকর্মীরা দেখেন, টিনের শেডের ছাদ ভেঙে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের গুদামেও। সেখানে ডাঁই করে রাখা মালপত্র পুড়ে যায়। শেষমেশ প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে সকাল ৮টা নাগাদ আগুন নেভে। বেলঘরিয়ার ওই কারখানায় ৩০-৩৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। তবে তাঁরা সকলে মঙ্গলবার রাতে বাড়ি চলে যাওয়ায়
বিলকান্দার সাজিরহাটের মতো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, বৈদ্যুতিক গোলযোগে আগুন লেগে থাকতে পারে। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, কারখানাটিতে কোনও অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মাস দু’য়েক আগে বিলকান্দার চেয়ার কারখানায় ঘটেছিল একই ঘটনা। দুপুরবেলা সেখানে কাজ চলাকালীন আচমকা একতলার একটি ঘরে আগুন ধরে যায়। সেখানে মজুত ছিল প্রচুর দাহ্য পদার্থ। মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সেই আগুন। সিঁড়ির মুখ পর্যন্ত আটকে যায়। দোতলা ও একতলার শ্রমিকেরা কোনও ভাবে বেরিয়ে আসেন। দোতলারই এক কোণের একটি ঘরে তখন ঝালাইয়ের কাজ চলছিল। আগুন যে ভয়াল আকার নিয়েছে, ওই ঘরে থাকা পাঁচ শ্রমিক তা বুঝতে পারেননি। ফলে তাঁরা আটকে পড়েন। খবর পেয়ে দমকলের ২৫টি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর লড়াইয়ে নামে। এক দিন পরে পুরোপুরি নেভে সেই আগুন। তার পরেও ওই শ্রমিকদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষে চার-পাঁচ দিন পরে দোতলার একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁদের দগ্ধ দেহাবশেষ। ঘটনায় কারখানার মালিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy