শোভন চট্টোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
মেয়র নেই। পুরভবনে তাঁর ঘরও ফাঁকা। কিন্তু মেয়রের টেবিলে এখনও রয়েছে অনেক ফাইল। যার বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ম মতো মেয়রের স্বাক্ষর হলেই সে সব ফাইল অনুমোদন হয়ে যায়। শনিবার সেই ফাইলগুলো ‘সিল’ করে রাখল পুর প্রশাসন। কেন এই পদক্ষেপ? পুর প্রশাসনের ব্যাখ্যা, ওই সব ফাইল ‘সুরক্ষিত’ রাখতেই এই ব্যবস্থা।
গত বৃহস্পতিবার কলকাতার মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তার আগে তিনি পুরসভায় শেষ আসেন মঙ্গলবার। তা-ও কয়েক মিনিটের জন্য। মেয়রের অফিসের সঙ্গে যুক্ত একাধিক কর্মী জানান, গত কয়েক মাস ধরে মেয়রের ঘরে অনেক ফাইল জমে থাকত। প্রায় প্রতিদিনই তার সংখ্যা বাড়ত। তিনি যে দিন আসতেন কিছু ফাইলে সই করতেন, কিছু পড়ে থাকত। তেমনই বেশ কিছু মেয়রের টেবিলে ডাঁই করে রাখা ছিল।
পুরসভার এক অফিসার জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরেই স্পষ্ট হয়ে যায়, শোভনবাবু আর মেয়র থাকছেন না। ওই দিন সন্ধ্যেয় জরুরি ভিত্তিতে মেয়র শোভনবাবুর ওএসডি অম্লান লাহিড়িকে সরিয়ে দেওয়া হয় অন্য দফতরে। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, ফাইলগুলি সযত্নে রাখতে হবে। শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় শনিবার সকালে ফাইলগুলি ‘সিল’ করার কাজ শুরু হয়। এমনকি, মেয়রের পিএ ছাড়া ওই ঘরে কারও ঢোকা নিষেধ করে দেওয়া হয়।
পুরসভার এক পদস্থ অফিসার জানান, ওই সব ফাইলে সম্পত্তি করে ছাড়, বিল্ডিং ফি মকুব-সহ অনেক কিছুই থাকতে পারে। পুরসভার অনুমোদনের ফাইলও থাকতে পারে। প্রতিটি ফাইল পুর কমিশনারের সইয়ের পর মেয়রের ঘরে এসেছে। মেয়রের সই হলেই তাতে ছাড়পত্র মিলে যেত। সে সব ফাইল যাতে ‘এদিক-ওদিক’ না হয়, তার জন্য সেগুলি সিল করে রাখা হয়েছে। নতুন মেয়র চেয়ারে বসলেই ফের তা টেবিলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুরকর্তারা।
এ দিকে, মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দেওয়া শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। এ দিন কোনও মনোনয়ন জমা পড়েনি। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মনোনয়ন পর্ব চলবে। অন্য কারও মনোনয়ন জমা না পড়লে ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে না, ফিরহাদ হাকিম পরবর্তী মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে যাবেন। তবে মেয়র পদে তিনি বসবেন আগামী ৩ ডিসেম্বর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy