Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
Farmers Protest

গরুর গাড়ি নিয়ে রাজভবনে কৃষকরা, অনড় নয়া কৃষি আইন বাতিলেই

বুধবার অখিল ভারতীয় কিসান সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতির সভা থেকে নয়া কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন হান্নান।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২০:০৫
Share: Save:

দিল্লির কৃষক বিদ্রোহের আঁচ এবার এসে পড়ল এ রাজ্যে। কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিতে গরুর গাড়ি করে রাজভবনে গেলেন কৃষকরা। পাশাপাশি, কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের সমাবেশ থেকে নতুন তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবি তুললেন সর্বভারতীয় কিসান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা।

বুধবার অখিল ভারতীয় কিসান সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতির সভা থেকে নয়া কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন হান্নান। তিনি বলেন, ‘‘কৃষকদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে ক্ষমতার জোরে তিনটি কালা আইন নিয়ে এসেছে মোদী সরকার। এতে কৃষকদের স্বার্থহানি হবে এবং কর্পোরেটদের লাভ হবে। নয়া কৃষি আইনের সবটাই ভুল। আমাদের দাবি এই আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।’’ কৃষি আইন বাতিল না হলে দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেন এই কৃষকনেতা।

হান্নানের মতে, ‘‘ক্ষমতায় আসার আগে কৃষকদের ঋণ মকুব ও ফসলের দাম দ্বিগুণের কথা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু ক্ষমতায় এসে তিনি স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্ট বাতিল করে দেন। তার পরিবর্তে আইন এনে কৃষকদের জমি কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতে চাইছেন। একে একে সবকিছু বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছেন। গরিব কৃষকদের জমিও বাদ দিতে চাইছেন না।’’

কেন্দ্রের কৃষি আইন নিয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সরকার ও কৃষকদের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গড়া হবে। সেই কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে আইন বাতিল হবে কি না। তবে এ প্রসঙ্গে হান্নানের দাবি, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের কী অধিকার রয়েছে এই আন্দোলনে হস্তক্ষেপ করার? এটা গণ আন্দোলন। জনগণের জীবন-জীবিকার আন্দোলন।’’ একইসঙ্গে আদানি-অম্বানীদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দেন হান্নান মোল্লা। সমস্ত কৃষককে আহ্বান জানান মুকেশ অম্বানীর সংস্থার জিও সিমকার্ড বাতিলের।

আরও পড়ুন: টেলিকমে চিনা যন্ত্রাংশে এ বার নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত কেন্দ্রের

প্রসঙ্গত, নয়া কৃষি বিল নিয়ে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে পাঁচ দফার বৈঠক হয় কেন্দ্রীয় সরকারের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সরকার পক্ষ আগেই জানিয়েছে, তারা কয়েকটি বিষয় সংশোধন করতে রাজি। কিন্তু কৃষি আইন ‘বাতিল’ করা হবে না। সরকারের এই দাবির পরেই কৃষক আন্দোলন আরও বড় আকার নেয়। দিল্লি, হরিয়ানার পাশাপাশি রাজস্থান সীমান্তেও অবরোধ করে কৃষকেরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আন্দোলনের ব্যাপকতা নিয়ে হান্নান জানান, প্রায় ৫০০টি কৃষক সংগঠন বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। এই আন্দোলনে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। তার প্রতিবাদে তাঁরা দেশের ৭০০ জেলায় বিক্ষোভ দেখাবেন।

আরও পড়ুন: ‘আশ্বাস অর্থহীন’, কৃষকদের নিয়ে কমিটি চাইল সুপ্রিম কোর্ট

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy