ফাইল চিত্র।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরের অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের মূল্যায়ন ইউজিসি-র নির্দেশ মতো হবে। কিন্তু এর প্রক্রিয়া নিয়ে অধ্যক্ষ মহলে কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। অন্য দিকে, স্নাতকোত্তর স্তরে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে ইউজিসি-র নির্দেশ মেনে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।
গত মাসে প্রথমে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের পরীক্ষা নিতে হবে। কিন্তু এর পরে ইউজিসি এক নির্দেশে জানিয়ে দেয়, পরীক্ষা নয়, অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের মূল্যায়ন করতে হবে আগের সিমেস্টারের ফল এবং বর্তমান সিমেস্টারের অন্তর্বর্তী মূল্যায়নের ফলকে ধরে। এই দু’রকম নির্দেশে বিভ্রান্তি ছড়ায়। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাধিকার রয়েছে। তাই তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিক।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায় শনিবার বলেন, ‘‘স্নাতক স্তরের অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের মূল্যায়নের বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি-র ১৬ জুলাইয়ের নির্দেশিকা মেনে চলবে। এর ফলে ৫০ শতাংশ নম্বর কলেজগুলির অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন পদ্ধতি থেকে গৃহীত হবে এবং বাকি ৫০ শতাংশ পূর্ববর্তী সিমেস্টারের প্রাপ্ত নম্বর থেকে নেওয়া হবে।’’ এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের মধ্যে চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা চলছে। দ্বিতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা আগামী সপ্তাহে শুরু হবে। সহ-উপাচার্য বিষয়টির ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষার নম্বর, উপস্থিতির নম্বর এবং কলেজ যে অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন করেছে, সব মিলিয়ে তার থেকে ৫০ শতাংশ নম্বর নেওয়া হবে।
কিন্তু অধ্যক্ষদের প্রশ্ন, সিমেস্টার পরীক্ষার নম্বরকে অন্তর্বর্তী মূল্যায়নে যোগ কী ভাবে করা হবে? যেখানে এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।
ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজের অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায় শনিবার জানান, যে নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাঁরা পেয়েছেন, তাতে এটা স্পষ্ট নয় যে, অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের পরীক্ষা আদৌ নেওয়া হবে কি না। বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে তিনি সহ-উপাচার্যকে ইমেল করেছেন। নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানালেন, অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তা হলে তা আর অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন হয় কী করে? এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আরও স্পষ্ট ভাবে জানালে ভাল হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস সরকার শনিবার বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় আজ ইউজিসি-র নিয়ম মেনে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, অন্তর্বর্তী সিমেস্টার পরীক্ষা চলছে। এ তো পরস্পরবিরোধী।’’
সহ-উপাচার্য অবশ্য জানিয়েছেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করলেও অতিমারি পরিস্থিতিতে খাতা দেখেন সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষকেরা। নম্বরও দেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী মূল্যায়নের বিষয়ে বেশ কিছু কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছিলেন, এমন কোনও পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালয় বাতলে দিক, যা সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সেই কথা ভেবে এই ধরনের পদ্ধতির কথা বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy